ডায়মন্ড হারবার : দুষ্কৃতী দমনে কড়া পদক্ষেপ। বিড়লা মোরের বাসিন্দা অমিত রামের(৩৮) ফলতায় খুনের ঘটনায় ডায়মন্ড হারবার ডিস্ট্রিট পুলিশের বড়ো সাফল্য। ফলতার বুরুলের থেকে অমিত রামের মৃতদেহের উদ্ধার হয়। এই খুনের তদন্তে নামে ডায়মন্ড হারবার জেলার পুলিশের এসডিপিও মিঠুন দে। এই তদন্তেই সোমবার রাতে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত কুখ্যাত দুষ্কৃতী মহম্মদ মুস্তাফা মিয়া ওরফে মুন্না-সহ আরো তিনজন।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপূজার নবমীর রাতে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বচসা হয়। সেই বচসাই হাতাহাতির পর্যায় পৌঁছয়। এরপর হাতাহাতি থেকে ঘটনাটি খুন পর্যন্ত যায়। ফলে বিড়লা মোরের বাসিন্দা অমিত রামেকে খুন কড়া হয় বলে ধারণা তদন্তকারীদের।
ধৃত মুন্নার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে নোদাখালিসহ ডায়মন্ড হারবার পুলিশ ডিস্ট্রিক্টের বিভিন্ন থানায়। রাজ্যে স্বচ্ছ প্রশাসন দিতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন – গড়িয়াহাট জোড়া খুনে মিঠুকে জেরায় উঠে এল ভিকির আরও দুই সাগরেদের নাম
এবার শাসক ঘনিষ্ঠ মুন্নাকে গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তাকে দুষ্কৃতী মহলে তুলে ধরল ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ। কোন রকম দুষ্কৃতি মূলক কাজকে প্রশ্রয় দেবে না তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকার। দুষ্কৃতি যতই প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ হোক না কেন।
এর আগেও দেখা গিয়েছিল কলকাতা পুরসভার ৫৮ নং ওয়ার্ডের দলীয় পুর প্রতিনিধি শম্ভুনাথ কাউকেও খুনের অভিযোগে সাজা দিতে পিছপা হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন।
পুলিশ সূত্রে খবর বজবজের বিড়লা মোড়ের বাসিন্দা অমিত রামের খুনে অভিযুক্ত মুন্না ওরফে মহম্মদ মুস্তাফা মিঞ্জা, আয়ুব মন্ডল, দিলয়ার হোসেন ও সাবির মন্ডলকে ভারতীয় দন্ডবিধীর ৩০২ ধারায় অভিযুক্ত করে তাদের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আলিপুর আদালতে পেশ করবে।