বোলপুর: বাড়ির গৃহদেবতা দুর্গা। রীতি অনুযায়ী কালীপুজো করতে নেই। একগুঁয়ে নাছোড়বান্দা ছোট্টো ছেলেটা ৷ সে দিন কালীপুজো করার জন্য ধোলাই খেয়েছিল বাবার হাতে। তাও কালীপুজোর জেদ ছাড়েনি। সেই শুরু ৷ শুরু কেষ্টর কালীর পুজো। সে-দিনের ছোট্টো কেষ্ট আজ সকলের কেষ্টদা, মানে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ৷
বোলপুরের নিচুপটিতে এই বছর ৪৫ ফুটের কালীপুজো। অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে শুরু হওয়া বাড়িপুকুর সম্মিলনীর কালীপুজোর বয়স এই বার ৫৫ বছরে । বর্তমানে বাড়িপুকুর সম্মেলনী ক্লাব এই পুজোর মূল উদ্যোক্তা। অবশ্য এখন এই পুজোর নেপথ্যে রয়েছেন দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের ভাই প্রিয়ব্রত মণ্ডল।
আলোর উৎসব কালীপুজো। গোটা রাজ্য-সহ দেশ এই আলোর উৎসবে মেতেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কালীপুজোর উদ্বোধন করছেন নেতা, মন্ত্রীরা। বুধবার বীরভূমের বোলপুরে নিজের পাড়ার বাড়িপুকুর সম্মিলনী কালীপুজোর ফিতে কেটে ও প্রদীপ জ্বালিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই পুজোর উদ্বোধন করলেন প্রতিষ্ঠাতা তথা বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শহর বোলপুরে এই কালীপুজো সাধারণত কেষ্টকালী নামে পরিচিত। পুজো উদ্বোধন করার পর অনুব্রত বলেন, ‘আমার বাড়ির গৃহদেবতা দুর্গা, তাই রীতি মেনে কালীপুজো করতে নেই।’
কালীর মূর্তি
একগুঁয়ে নাছোড়বান্দা অনুব্রত ন’বছর বয়স থেকেই এই কালীপুজো শুরু করেছিল। কালীমূর্তিটাও নিজেই তৈরি করেছিলেন। কালীপুজো করার জন্য মারও খেতে হয়েছে বাবার হাতে।। আর সেই পুজো চলতি বছর ৫৫ বছরে পা দিল। বীরভুমের বোলপুর শহরের অন্যতম বড় কালী প্রতিমা হিসেবে পরিচিতি বাড়িপুকুর সম্মিলনী ক্লাব।
এই বছর তারা ৪৫ ফুটের কালী মূর্তি বানিয়ে পুজো করছে। ক্লাবের আর এক কর্তা তথা অনুব্রতর ভাই প্রিয়ব্রত এদিন বলেন, ‘দাদা ছোটবেলায় পুজো শুরু করেছিল। ঘরের নিয়ম অনুযায়ী আমাদের কালীপুজো করতে নেই। তবুও এক প্রকার জেদ করে কালীপুজো করে বাবার হাতে মার খেতে হয়েছিল দাদাকে।’ আজ এই পুজো সকল মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে ৷