বোলপুর: অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপি ত্যাগের পর গেরুয়া শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর কথায়, ‘বিজেপি জঞ্জালে পরিপূর্ণ। ওই জঞ্জালে ভদ্রলোক থাকা মুস্কিল আছে। উনি তো মহিলা। ওর পক্ষে ওই জঞ্জালে থাকা সম্ভব নয়।’
এর আগে আরেক টলি অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী বিজেপি ছেড়েছেন। আর আজ দল ছাড়লেন শ্রাবন্তী। ভবিষ্যতে আর কে কে বিজেপি ছাড়বেন, তা নিয়ে চিন্তায় গেরুয়া শিবিরের নেতারা। এই প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, শুধু শ্রাবন্তী কেন, সবাই একে একে ছাড়বে। সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হবে।
আরও পড়ুন: ‘ঘাড় থেকে ভূত নামল’, ‘নগরীর নটীর’ বিদায়ে স্ব-মেজাজে তথাগত, আরও চওড়া হচ্ছে বিজেপির ফাটল
নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করেন অনুব্রত। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি বলেন, ২৮ বছর দল করার পর হাওড়ায় বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহাকে বহিষ্কার করা হল। একটা চোর ছড়ি ঘোরাচ্ছে। তাই বিজেপি পার্টি এখন জঞ্জালে ভরে গিয়েছে। কেউ থাকতে রাজি নয়।
বিজেপিকে কটাক্ষ করে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, দেখবেন নোংরা জায়গাতে কুকুর কখনো শোয় না। রাস্তাঘাটে খেয়াল করবেন নোংরা জায়গায় শোয় না। শ্রাবন্তী সিনেমার আর্টিস্ট ছাড়া বাকি সব পরিচয় ছেড়ে দিলাম, তিনি তো মহিলা। মহিলা হয়ে কি করে ওই জঞ্জালে থাকবে?
আরও পড়ুন: পদ্মাসন ছেড়ে শ্রাবন্তী এ বার কাকে বলবেন ‘শুধু তোমারই জন্য’
তথাগত রায় সম্প্রতি বলেছেন, নারীসঙ্গ আর অর্থ বিজেপিকে শেষ করে দিল। এই প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। আমি তো ওদের দলে ছিলাম না। ওদের পার্টি অফিসেও ঢুকিনি। ওখানে কী হয় সেটা ওদের দলের লোক বলতে পারবে। বোলপুর পার্টি অফিসের ভেতরে আমি কী করি, সেটা আমার দলের লোক বলতে পারবে।