হাওড়া: নির্মল দাস। জিতেন্দ্র হেমব্রম। কাশিনাথ বেরা। আমতা থানার তিন পুলিস কর্মী। যাদের মঙ্গলবার সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রথম জন এএসআই। জিতেন্দ্র কন্সটেবল। হোমগার্ড কাশিনাথ বেরা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমতার ছাত্র নেতা আনি খান ‘খুনের’ তদন্তে গাফিলতি।
ঠিক কী অভিযোগ? কীসের গাফিলতি?
গত শুক্রবার রাতে ঘটনার সময় থানায় ছিলেন এই তিনজন। অন্তত আমতা থানার ডিউটি রোস্টার এমনটাই বলছে। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে আনিসের পরিবারের তরফে থানায় ফোন করার অডিও। তদন্তে দেখা গিয়েছে শুক্রবার রাতের ঘটনা হলেও আনিসের বাড়িতে শনিবার সকালে পৌঁছয় পুলিস। প্রায় দশ ঘন্টা পর। কিন্তু কেন তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি এই তিন পুলিস কর্মী। এমনকী আনিসের মোবাইল ফোন বা ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহের বিষয়েও গাফিলতির অভিযোগ সামনে এসেছে।
আনিস তদন্তে গঠন হয়েছে সিট পুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি। দায়িত্ব নেওয়ার পরই সোমবার রাতে আনিসের বাড়িতে যান সিটের সদস্যরা। প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে কেন এই তিন পুলিস কর্মী ঘটনার দিন এতটা নির্লিপ্ত ছিলেন। সিটের মত, ঘটনার পর এই তিন পুলিস কর্মীর এমন নির্লিপ্ত থাকার ফলে রুদ্ধ হয়েছে তদন্তের গতি।
আরও পড়ুন- Anis Khan Murder: আনিস হত্যা তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে যাদবপুরে বিক্ষোভ এসএফআইয়ের
সোমবার রাতেই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার দেবজ্যোতি দে, ডিআইজি সিআইডির অপারেশনাল মিরাজ খালিদের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দলটি আমতা থানায় যান। শুক্রবার রাতে কর্তব্যরত পুলিস কর্মীদের তালিকা খতিয়ে দেখেন। কথা বলেন হাওড়া গ্রামীণ পুলিস সুপার সৌম্য রায়ের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরেই তিন পুলিস কর্মীকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত।