কলকাতা: আনিস খানের রহস্যমৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ধৃত দুই পুলিস কর্মী। ধৃত হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা এবং সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যর দাবি, থানা থেকে ওসির নির্দেশে গিয়েছিলেন আনিসের বাড়ি। আমাদের বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা জানেন বলে দাবি করেছেন ধৃতরা। এদিকে পুলিসের পাল্টা দাবি, ধৃতদের জেরা করে একাধিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। বৃহস্পতিবার তাঁদের উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হবে।
দুই পুলিস কর্মীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কলকাতা টিভি ডিজিটালের তরফে আমতা থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীকের ফোন করা হয়। তাঁর কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে প্রশ্ন শুনেই তিনি ফোন কেটে দেন। আজ, বৃহস্পতিবার দেবব্রতবাবুকে ভবানীভবনে ডাকা হয়েছে। সূত্রের খবর, ধৃত ২ পুলিস কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য মিলেছে, তা নিয়েই কথা বলা হবে আমতা থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীর সঙ্গে।
বুধবারের মতই আজও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় রয়েছে আনিসের পরিবার। কাদের নির্দেশে আনিসের বাড়িতে গত শুক্রবার চার পুলিশকর্মী এসেছিলেন, তা প্রকাশ্যে জানানোর দাবিও তুলেছেন তারা। সিবিআই তদন্তের দাবিতে বৃহস্পতিবার আমতা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাবেন আনিসের পরিজন এবং পাড়ার লোকজন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আনিসের পারলৌকিক ক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফুরফুরা শরিফের ইমাম সেই পারলৌকিক ক্রিয়ায় যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Anis Khan Probe: রাজনীতি দূর হটো, দক্ষিণ খাঁ-পাড়ার দাবি শুধুই আনিসের খুনিদের ধরে দিন
শুক্রবার গভীর রাতে পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাক পরা চার যুবক আসে আনিসের বাড়িতে। আনিসের নাম করে তাঁরা ডাকাডাকি করায় দরজা খুলে দেন আনিসের বাবা সালেম খান। তাঁর অভিযোগ, পুলিসের পোশাক পরা একজন হাতে বন্দুক নিয়ে একটি ঘরে তাঁকে পাহারা দিচ্ছিল। বাকিরা তিনতলার ছাদে চলে যায়। আনিস তখন ছাদেই ছিলেন। কিছুক্ষণ পর সালেম ভারী কিছু পড়ার শব্দ শোনেন।
আনিসের বাবার দাবি, ওই তিনজন নীচে এসে বন্দুকধারীকে বলে, কাজ হাসিল হয়ে গিয়েছে। পরে বাড়ির সামনে আনিসকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাসপাতালে আনিসকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আনিসের মৃত্যুর পর তোলপাড় চলছে রাজ্যজুড়ে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব পড়ুয়া থেকে একাধিক রাজনৈতিক দল। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিট। পুলিস সূত্রে খবর, আজ ধৃত ২ পুলিস কর্মীকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।