বাঁকুড়া: কেউ কথা রাখেনি৷
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিখ্যাত কবিতা বাঁকুড়ার বিভীষণ হাঁসদা পড়েছেন কিনা জানা নেই৷ কিন্তু তিনিও ‘কেউ কথা রাখেনি’র শিকার৷ গত বছর তাঁর বাড়িতে খেতে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিভীষণের মেয়ে রচনার চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ বলেছিলেন, দিল্লিতে তিনি রচনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবেন৷ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখ থেকে এমন প্রতিশ্রুতি শুনে মনে বল পেয়েছিলেন বিভীষণ৷ ভেবেছিলেন, দিল্লিতে চিকিৎসা পেলে মেয়েটা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে৷ তাই দিনের পর দিন ‘শাহি’ প্রতিশ্রুতি রক্ষার আশায় ছিলেন৷ অপেক্ষা করতে করতে আবার আরেকটা নভেম্বর মাস হাজির৷ কিন্তু মেয়েকে নিয়ে দিল্লি যাওয়া হয়নি বিভীষণের৷
আরও পড়ুন: রাজকীয় মেজাজে রাস্তা আটকাল দাঁতাল, ক্যামেরাবন্দি করতে ভিড় পর্যটকদের
৫ নভেম্বর ২০২০৷ ওই দিন বাঁকুড়ার চতুরডিহি আদিবাসী গ্রামে মধ্যহ্নভোজ সারতে গিয়েছিলেন অমিত শাহ৷ সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের প্রথম সারির বিজেপি নেতারা৷ ‘ভেন্যু’ ছিল বিভীষণ হাঁসদার বাড়ি৷ সেদিন অমিত শাহকে ডাল-ভাত, শুক্তো, আলু পোস্ত খাইয়েছিলেন বিভীষণের স্ত্রী৷ খাওয়া-দাওয়ার পর আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় কাটান অমিত শাহ৷ তখনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মেয়ের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানান বিভীষণ৷
আরও পড়ুন: নোটবাতিল নিয়ে মমতাই ঠিক ছিলেন, পঞ্চম বর্ষপূর্তিতে নেত্রীর পুরনো টুইট তুলে আনলেন ডেরেক
সেই বিভীষণ বলেন, সে দিন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা দিল্লি এইমস হাসপাতালে করে দেবেন৷ এমনকী মেয়ের ওষুধ-সহ যাবতীয় সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন৷ এক বছর কেটে গিয়েছে৷ কিন্তু প্রতিশ্রুতি বাস্তবে পরিণত হয়নি৷ কথা দিয়েও কথা রাখেননি অমিত শাহ৷ আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপর অভিমান ঝরে পড়ছে বিভীষণের৷ রাজনীতির শিকার হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে তাঁর৷ দিনমজুরের রুজির টাকা থেকেই মেয়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন বিভীষণ৷