চন্দননগর : চন্দননগর মানে আলোর শহর ৷ চন্দননগর মানে জগদ্ধাত্রীর শহর।
দুর্গাপুজোর ঠিক এক মাস পর চার দিনের জন্য ফি বছর আলোর মালায় সেজে ওঠে চন্দননগর। গঙ্গাপাড়ের ইতিহাসের এই শহরের তখন এক অন্যরূপ। এ বছর এক অভিনব ভাবনা এনেছেন পুজো উদ্যোক্তারা। শুধু মণ্ডপ নয়, জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে চন্দননগরের বিভিন্ন পাড়াগুলিকেও সাজানো হয়েছে লাইট দিয়ে। সেই সঙ্গে এবার আলোর সজ্জাতেও পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর স্ট্রিটলাইট বা রাস্তার পাশের আলো দিনকে দিন কমে যাচ্ছে। তার জায়গায় আরও জমকালো হচ্ছিল পুজোর শোভাযাত্রা। জেনারেটর ভ্যান ব্যবহার করে সারা শহর প্রদক্ষিণ করত সেই আলোর মালা।
করোনার প্রকোপে গত বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রায় দেখতে পারেনি কেউ। এ-বছরও শোভাযাত্রা হচ্ছে না। কিছুটা হয়তো মন খারাপ ছিল আলোর শহরের। ঠিক তখনই চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি এবং ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৭১টি পুজোর উদ্যোক্তারা একত্রে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন, এই বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর স্ট্রিটলাইট বা রাস্তার ধারের আলোকসজ্জার উপর পুরস্কার দেওয়া হবে।
মূলত পুজো কমিটি এবং আলোর শিল্পীদের উৎসাহ দিতেই এই পুরস্কারের সিদ্ধান্ত। বিশাল বিশাল বাঁশের স্ট্রাকচার বেঁধে লাগানো হয়েছে স্ট্রিট লাইট। আলোক শিল্পীরাও খুশি। করোনাকালে এই মন্দার বাজারে কিছুটা হলেও তাঁদের কাজের সুযোগ হচ্ছে। খুশি পুজো উদ্যোক্তারাও, রাস্তার ধারে আলো লাগিয়ে শোভাযাত্রা না করতে পারার দুঃখ কিছুটা হলেও কমবে।
করোনা কালে সব বিধি-নিষেধ সামলেও ৪ দিনের জন্য আলোর জোয়ারে ভেসে যাবে ইতিহাসের শহর চন্দননগর।