জলপাইগুড়ি: শুক্রবার নতুন করে আরও ৩১ জন শিশুকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যেকেরই অজানা(Mystery Fever) জ্বরের কারণে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে আরও তিন শিশুকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বাড়ছে অজানা জ্বরের প্রকোপ৷ অভিযোগ, গত চারদিনে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ জ্বর, বমি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ভর্তির সংখ্যা৷ বাচ্চাদের নিয়ে আতঙ্ক ভুগছেন বাবা-মায়েরা৷ যদিও স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কোনও শিশুর মৃত্যু হয়নি৷ এই সময় এমন জ্বর হয়৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর এই সময় ভাইরাল জ্বর হয়েই থাকে৷ তবে আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে সেটা উদ্বেগের৷
প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা মনে করছেন ঋতু পরিবর্তনের কারণে এই জ্বর হয়ে থাকতে পারে৷ কিন্তু জ্বরের কারণ খুঁজতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে (Malda Medical College) একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে৷ তবে শিশু বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জ্বর নিয়ে আসা শিশুদের কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি৷ অপরদিকে জ্বরের কারণ খুঁজতে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের নাকের রস ও রক্তের নমুনা কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো শুরু হয়েছে৷ কিন্তু হাসপাতালে যেভাবে শিশুদের চিকিৎসা হচ্ছে তা নিয়ে ক্ষোভ জানাচ্ছেন বাবা-মায়েরা৷ মালদহ মেডিক্যাল কলেজে আসা এক অভিভাবকের কথায়, এখানে কোনও চিকিৎসা হচ্ছে না৷
আরও পড়ুন-জলপাইগুড়িতে জ্বরে আক্রান্ত শতাধিক শিশু, একজনের দেহে করোনা সংক্রমণ
অপরদিকে জলপাইগুড়িতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতর, পূর্ত দফতর ও জেলা প্রশাসন বৈঠকে বসে৷ বৈঠকের পর জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘শিশুদের চিকিৎসায় কোনও খামতি রাখা হবে না৷ দ্রুত সদর হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা প্রস্তুত৷ অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে আধুনিক শয্যা ও যন্ত্রাংশ দিয়ে চালু হবে এই বিভাগ৷’ তবে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে৷ জেলাশাসক জানান, এই মুহূর্তে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১০৫ জন শিশু৷ এদিন ৩২ জন শিশু ভর্তি হয়েছে আর ৩১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছে৷ জোর দেওয়া হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায়৷