পুরুলিয়া: প্রতিবেশীর অত্যাচারে ঘর ছাড়তে হয়েছিল আদিবাসী পরিবারকে৷ অভিযোগ, লাগাতার অত্যাচার চালিয়ে লাভ না হওয়ায় ওই আদিবাসী পরিবারকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে বাড়িতে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ নির্যাতিত পরিবারটি স্থানীয় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা পান নি৷ এমনকী, জেলা পুলিশ সুপারকে জানিয়েও কাজ হয়নি৷ বাধ্য হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় তাঁরা৷ আর গোটা অত্যাচার পর্ব চালায় প্রতিবেশী আরেক আদিবাসী পরিবার৷
আরও পড়ুন- যোগী পুলিশকে নিরপেক্ষ পদক্ষেপের নির্দেশ অমিত শাহের
২০১৭ সালে মাকু হেমব্রম কাশীপুর থানার মেহি গ্রামে ১.৫ লক্ষ্যে টাকার বিনিময়ে নন্দলাল মান্ডির থেকে জমি-সহ পাকা বাড়ী কেনেন। তারপর সেখানেই মাকু তাঁর পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন। ২০২০ সালের ১ অক্টোবর। কাশীপুর থানার মেহি গ্রামের অন্য আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা তাঁদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। মাকু হেমব্রম কাশিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে যায়৷ কিন্তু, পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। তারপরই অক্টোবর মাসের ১০তারিখ পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন৷ তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন ওই আদিবাসী পরিবার।
আরও পড়ুন- ‘১৩ কোটির মধ্যে আপনিও আছেন’, টিকা নিয়ে রাহুলকে খোঁচা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এরপর ২৪ জুন ২০২১ তারিখে মাকু হেমব্রমকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় দখলকারী আদিবাসী পরিবার। ফের কাশীপুর থানায় অভিযোগ করেন সাকু। এ দিকে ২৬ জুন ২০২১ শুনানি হয় আদালতে৷ মাকুর পরিবারকে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থার নির্দেশ দেন বিচারক৷ কাশীপুর থানার পুলিশ মাকুর পরিবারকে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে বলেও জানায় আদালত৷ শুধু ঘরে ফেরানো নয়, টানা এক সপ্তাহ মাকুর বাড়ির সামনে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সেই নির্দেশ মেনে রবিবারকে মাকু ও তাঁর পরিবারকে ঘরে ফেরায় পুলিশ৷