বসিরহাটঃ জটিল অপারেশনে প্রাণ ফিরল যুবকের। রাত ২ টোয় প্রায় ঘন্টা দেড়েকের অপারেশনে সফল বসিরহাট জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার ঘাড়ে সাংঘাতিক কোপ আঘাত নিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বসিরহাট জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগে আসেন আলানিন গাজী। এমন আঘাত তক্ষুনি অপারেশন না করতে পারলে রক্তক্ষরণেই মারা যেতে পারেন তিনি।
আঘাতের গুরুত্ব বুঝে তখনই অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন ডা: সর্বজিৎ সরকার ও ডা: লোকনাথ মণ্ডল। আঘাতে যুবকের প্রাথমিক অবস্থা দেখে চিকিৎসকেরা ভেবেছিলেন লাভ হবে না।কিন্তু হেরে গেলে চলবে না। এগিয়ে এসে অপারেশন শুরু করলেন চিকিৎসকেরা। প্রায় ঘন্টা দেড়েক এর অপারেশনের পর ফল মিলল! জয় হলো বসিরহাট জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের।
ইএনটি সার্জন সর্বজিৎ সরকার জানিয়েছেন, যুবকের কাঁধে এমন ভাবে কোপ লেগেছিল যে কাটা পড়েছিল ট্রাপিজিয়াস, সোলিয়াস ইত্যাদি মাংস পেশী আর কিছু ধমনী। রক্ত ঝরছিল অবিরত। অপারেশন খুব একটা সহজ ছিল না।যে জায়গায় কপ লেগেছিল তার খুব কাছেই শ্বাসনালি ট্রাকিয়া, ব্রেকিয়াল প্লেক্সাস। যা কিনা কাঁধের জয়েন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নার্ভের মেলা। একটু এপাশ ওপাশ হলেই অকেজো হয়ে যেতে পারত শ্বাসনালি, অকেজো হতে পারত গোটা হাত। কিন্তু প্রাণ বাঁচাতে ঝুঁকি নিতেই হতো। ধৈর্য ধরে ধমনী খুঁজে রক্ত বন্ধ করা হয়েছে।এত বড় অপারেশন সফল হবে আশা করিনি।সকলের অবদান রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অপারেশনের ১৮ ঘন্টা পরে রুগীর হুঁশ ফেরে।আপাতত হাসপাতালেী রয়েছেন তিনি।চিকিৎসকদের পরামর্শে খাবার ও ওষুধ খেয়েছেন।