ডেবরা: একই স্কুলে এক ছাত্রকে দু’বার করোনা টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল৷ যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের কেন্দ্র হাইস্কুলের ঘটনা৷ সোমবার মাত্র দশ মিনিটের ব্যবধানে দু’বার ভ্যাকসিন পেয়েছে নবম শ্রেণির পড়ুয়া উমেশ পাঁড়৷ বর্তমানে সে সুস্থ আছে৷ এই ঘটনায় ছত্রের পরিবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে দোষী করেছে৷ জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক মঙ্গলবার ব্লকস্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে৷
মেদিনীপুরে গত কয়েকদিন ধরে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী পড়ুয়াদের করোনা টিকাকরণ চলছে৷ ডেবরা ব্লকের আলোক কেন্দ্র হাইস্কুলেও ১৫-১৮ বছরের পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। সোমবার আবদালীপুরের এক পড়ুয়াকে পর পর দুটি করোনা টিকা দেওয়া হয়৷
ওই পড়ুয়া জানিয়েছে, টোকেন থাকা সত্বেও তাকে পুনরায় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ওই পড়ুয়ার বাবা জানিয়েছেন, “ছেলে ভ্যাকসিন নিয়ে বেরোনোর পর, আবার একবার ডেকে নিয়ে গিয়ে ভ্যাকসিন দিয়ে দেয় হয়। স্যাররা ভেবেছিলেন ও হয়তো ভয় পাচ্ছে বলে ভ্যাকসিন নেয়নি। কারণ, প্রথমবার ওর টোকেনটি ভুল করে জমা নেয়নি। তাই, টোকেন জমা নিয়ে আরও একবার ভ্যাকসিন দিয়েছে। বাড়িতে এসে বলার পরই, আমি স্কুলে গিয়েছিলাম। প্রধান শিক্ষক বললেন এরকম হওয়ার কথা নয়। যদি হয়ও ভয় পাওয়ার দরকার নেই। তারপর, আমাকে প্যারাসিটামল দেওয়া হয়। রাতে খাইয়েছি।” ওই কিশোর এখন স্থিতিশীল৷ এখনও অবধি কোনও শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করেনি সে!
আরও পড়ুন-প্রেমের কাঁটা সরাতে প্রেমিকাকে নিয়ে গর্ভবতী স্ত্রীকে খুন স্বামীর
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা বলেন, ‘এই ঘটনা একেবারেই অনভিপ্রেত, কাঙ্ক্ষিত নয়৷ বিশেষ শারীরিক অসুবিধা হবে না। হলেও ছোটখাটো অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। এই ঘটনা একেবারেই কাঙ্ক্ষিত নয়। এত রকমের সচেতনতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও এই ঘটনা কেন ঘটবে! আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
ডেবরার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার আরিফ জানিয়েছেন, খবর পাওয়ার পরই আমি স্বাস্থ্য দফরের টিম পাঠিয়েছিলাম খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। ছেলেটি এখন সুস্থ আছে। তবে স্কুল নিজেই এখনও নিশ্চিত নয় ওকে সত্যিই দু’বার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে কিনা। যদিও ছেলেটির পরিবারের দাবি তাকে দু’বার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে৷ ছেলেটির শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রেখেছি৷ অসুস্থতা অনুভব করলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”