কাটোয়া: এক ব্যক্তিকে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। মঙ্গলবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই ব্যক্তি। অবশেষে বুধবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিমি দূরে ভাগীরথী থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার পুলিশ। ইতিমধ্যে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া (Katwa) মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম টুটুল বিশ্বাস (৪৫)। কাটোয়া -২ ব্লকের অগ্রদ্বীপ অঞ্চলের বাবলাডাঙা গ্রামে বৃদ্ধা মা ভগবতী বিশ্বাস, স্ত্রী সবিতা বিশ্বাস ও এক ছেলে শুভমকে নিয়ে থাকতেন টুটুল বাবু। পেশায় কৃষক ছিলেন তিনি৷ টুটুল বাবু এদিন রাতে বাড়ি লাগোয়া গোয়ালবাড়িতে ছিলেন৷ রাত প্রায় নটা নাগাদ তাঁকে নাকি কেউ ফোন করে ডাকেন৷ এরপর তড়িঘড়ি টুটুল বাবু বাড়িতে এসে জামা পড়ে বেরিয়ে যান। তারপর থেকে আর তিনি বাড়ি ফেরেননি৷ তাঁর স্ত্রীও প্রতিদিনের মত খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়েন। এদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখেন স্বামী এখনও বাড়ি ফেরেননি৷ এরপরেই শুরু হয় খোঁজ৷ অবশেষে এক প্রতিবেশির কাছে খবর পেয়ে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিমি দূরে ভাগীরথীর ধারে তাঁদের নিজস্ব জমিতে রক্ত দেখতে পান তাঁরা৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। অগ্রদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির অফিসাররা গিয়ে ভাগীরথীর জল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করেন৷
আরও পড়ুন:মালদহে পঞ্চায়েত ঘিরে তৃণমূলের কোন্দল চলছেই
নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে কেউ বা কারা খুন করে দেহ লোপাটের জন্য ভাগীরথীতে পাথর বেঁধে জলে ডুবিয়ে দিয়েছে৷ তিনি বলেন, আমার স্বামী সুদে টাকা ধার দিতেন৷ তাই কেন তাকে খুন করা হল বুঝতে পারছি না৷ আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই তাঁকে খুন করা হতে পারে। মৃতদেহের মাথার পিছনে, বাঁকানে, মাথার বাঁদিক অংশ ও বাঁ হাতে একাধিক কোপানোর দাগ দেখা গিয়েছে। তাছাড়া যেখানে রক্ত পড়েছিল। সেখান থেকেও কয়েকমিটার দূরে ভাগীরথীর পাড় পর্যন্ত রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।