দার্জিলিং : প্রতিবছর এই সময়ে অর্থাৎ শীতকাল আসার আগে হাতিরা লোকালয়ে বেরিয়ে পড়ে খাবারের সন্ধানে। আর লোকালয়ে যাওয়ার জন্য জলপাইগুড়ির কিরণ চন্দ চা বাগান হাতিদের করিডর হিসেবে পরিচিত। শুক্রবার সকালে সেখানেই দেখা মিলল একদল হাতির। হাতি দেখতে উৎসুক বাসিন্দাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।
শুক্রবার দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ির কাছে কিরণ চন্দ্র চা বাগানে এক পাল হাতি দেখতে পায় স্থানীয় চা বাগানের শ্রমিকরা। বনদফতরের কাছে আগেই খবর ছিল হাতির পাল ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে। সেইমতো বনদফতর আগের থেকে ওই এলাকায় তৈরি ছিল। যাতে হাতির পাল স্থানীয় বাসিন্দাদের অঞ্চলে ঢুকে না পড়তে পারে।
এদিন কিরন চন্দ চা-বাগানের ভেতর দিক থেকে প্রায় ৭০টিরও বেশি হাতির পাল ৩১-সি নং জাতীয় সড়ক পার করে। চারপাশে গ্রামবাসীর ভিড় ছিল দেখার মত। এদিন প্রায় ৭০ টি হাতি একটি দল রাস্তা দিয়ে পার হয়। তারপর ধীরে ধীরে জঙ্গলের দিকে চলে যায়। হাতির পাল দেখেই স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমান। অনেকেই মোবাইলে এই দৃশ্য বন্দী করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন – কংসাবতীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের চাপে গভীর জলে পাঁচ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে হাতির পাল
আরও পড়ুন – স্নান সেরে তৈরি কুনকি হাতির দল, ডুয়ার্সের বাসিন্দাদের চোখে ওরাই বিশ্বকর্মা
তবে, বনদফতরের সজাগ দৃষ্টি ছিল। যাতে হাতির পাল রাস্তা পেরিয়ে কোনও ভাবে গ্রামে না ঢুকে পড়ে। তাছারাও কাছাকাছি স্থানীয় বাসিন্দারা যারা হাতি দেখতে ভিড় করেছিল তাঁরা যাতে হাতির কাছে না যেতে পারে। এমনকী তাঁদের জন্য হাতির পাল যাতে দিকভ্রষ্ট না হয়ে পড়ে। দক্ষতার সঙ্গে এদিন বনদফতরের কর্মীরা হাতির পালকে জাতীয় সড়ক থেকে জঙ্গলের দিকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।