রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দেড়মাস পেরিয়ে গেলেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এবার বসিরহাট মহকুমার মিনাখাঁ বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন পাঁচ শতাধিক মানুষ।
মিনাখাঁ বিধানসভার বাছড়া মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন বিজেপি সদস্য- নিতাই মণ্ডল, ইন্দুমতী দাস, ভোলানাথ পাত্রর পাশাপাশি মিনাখাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দীপক পাত্র এবং পাঁচ শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করলেন। শনিবার বিকেলে সোনাপুকুর শংকরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণ চকে যোগদান অনুষ্ঠান হয়। মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানী মণ্ডল, ব্লক সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।
এদিন জঙ্গলমহলেও বিজেপি ও কংগ্রেসে শিবিরে বড়সড় ভাঙন ধরল। পুরুলিয়া জেলাপরিষদের বিরোধী দলনেতা বিজেপির অজিত বাউড়ি-সহ গেরুয়া শিবিরের বেশ কয়েকজন এবং কংগ্রেস শিবিরের মোট ৪ সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন জেলাপরিষদের সদস্যরাও। এ দিন তাঁদের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দলে বরণ করে নেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক।
শনিবার পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে জেলা পরিষদের এই ৪ সদস্য ছাড়াও পুরুলিয়া বিধানসভার কংগ্রেসের প্রার্থী তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া শহর কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বরূপ পট্টনায়ক, পুরুলিয়া পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর ববিতা কর্মকার, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর কথা প্রাক্তন কাউন্সিলর আরতি পান্ডে এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়দেব দত্ত তৃণমূলে যোগ দেন।
পুরুলিয়া জেলাপরিষদের সভাধিপতি তথা দলের কো-অর্ডিনেটর সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই যোগদান হয়। এই যোগদান-পর্বে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্তমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা-সংস্কৃতি-তথ্য-ক্রীড়া সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু ও দুই কো-অর্ডিনেটর সুষেনচন্দ্র মাঝি ও মিনু বাউরি।