পশ্চিম মেদিনীপুর: তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে দীর্ঘ এক বছর ধরে সামাজিক বয়কটের শিকার ২৭টি আদিবাসী পরিবার। অভিযোগ, দোকানপাট, ধোপা, নাপিত, এমনকি ১০০ দিনের কাজ থেকেও তাঁদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে না পঞ্চায়েত প্রধানের সার্টিফিকেটও।শাসকদলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১নং মকরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মকরামপুর অঞ্চলের প্রাক্তন তৃণমূলের সভাপতি নাকফুড়ি মুর্মুর সঙ্গে লক্ষ্মীকান্ত শীটের দীর্ঘদিনের ঝামেলা।সেই কারণেই গত এক বছর ধরে তালা গ্রামের তৃণমূল কর্মীরা ২৭ টি আদিবাসী পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কট করে রেখেছেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ, ধোপা, নাপিত, স্কুলছাত্রীদের কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে সরকারি সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে ওই ২৭টি পরিবারের সদস্যদের। কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানেও যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কেউ সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাঁদেরও হুমকি দিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা। গ্রামবাসীদের তরফ থেকে নারায়ণগড় থানা এবং বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অজিত মাইতি বলেন, আমরা খবর পেয়েছি। এগুলো আমরা সমর্থন করি না। আমি স্থানীয় বিধায়ককে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পুলিসকেও বিষয়টা দেখতে বলা হয়েছে। দলের কোনও নেতা-কর্মী এই ঘটনায় জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- Farakka: ফরাক্কায় আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ সহ গ্রেফতার এক মহিলা
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌরীশংকর অধিকারী এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, তৃণমূল আমলে সবকিছুই সম্ভব। তাঁর অভিযোগ, পুলিস এব্যাপারে নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছে শাসকদল জড়িত বলেই।
নারায়ণগড়ের বিডিও কৃশানু রায় বলেন, এরকম একটি অভিযোগ আমরাও পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।