হুগলি: বাবা-মায়ের ডিভোর্স (Divorce) নিয়ে কথাবার্তা চলছে৷ সম্ভবত সেটা মেনে নিতে পারেনি ১১ বছরের অর্পিতা৷ অভিমানে আত্মঘাতী হয় সে৷ বুধবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে পাণ্ডুয়ার (Pandua) সিমলাগড় চাপাহাটি গ্রামে৷ খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান মা৷ তাঁর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেয়েকে মেরে ফেলেছে৷ অভিযোগ অস্বীকার করেছে অর্পিতার বাবা৷ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, সকালে মেয়ে গিয়েছিল মায়ের বাড়ি৷ মায়ের বকা খেয়ে আত্মঘাতী হয় সে৷
আরও পড়ুন: পুজোর আগে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি রাজ্যে, উদ্বেগে প্রশাসন
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অর্পিতার বাবা শিবু মুহুরি এবং মা সুপর্ণা মুহুরি আলাদা থাকেন৷ গত চার মাস ধরে তাঁদের ডির্ভোসের কথাবার্তা চলছে৷ এদিন সকালে সুর্পণার কাছেই ছিল অর্পিতা৷ বেলা হতেই চাপাহাটি গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে৷ সেই সময় ঘরেই ছিলেন শিবু৷ স্নান করে টিভি দেখছিলেন তিনি৷ এর পর খাবার জন্য তিনি ডাকতে যান মেয়েকে৷ তখনই দেখেন ভেতর থেকে দরজা বন্ধ৷
আরও পড়ুন: হাফ প্যান্টে ফতোয়া জারি পঞ্চায়েতে
মেয়ের সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকের তিনি৷ দেখেন, গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে অর্পিতা৷ সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন তাকে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা৷ অর্পিতার মৃত্যুর জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দিকে আঙুল তুলেছেন৷ কিন্তু শিবু মুহুরির অভিযোগ, সকালবেলায় মায়ের সঙ্গে কোনও কারণে মেয়ের অশান্তি হয়ে থাকতে পারে৷ তাই বাড়ি ফিরে এসেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পান্ডুয়া থানার পুলিশ৷ ঠিক কি কারণে আত্মহত্যা তা পরিষ্কার নয়৷ পুলিশ তদন্ত করে দেখছে৷