তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার হল এক গৃহবধূর মৃতদেহ। বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানার পশ্চিম জয়নগর গ্রামের ঘটনা। জানা গেছে, শনিবার সকালে পাট কাটতে গেলে, সেখানে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় এক মহিলার মৃতদেহ দেখতে পান কয়েকজন কৃষক। পরে জানা যায় মৃতদেহটি এলাকারই বাসিন্দা তহমিনা খাতুনের। ঘটনাস্থল থেকে তহমিনার বাড়ি মাত্র ৩০০মিটার দূরে। মৃত মহিলার বাবার অভিযোগ, মোবাইল ফোনে ডেকে তাঁর মেয়েকে খুন করেছে তাঁরই জামাই। দশ বছর আগে তহমিনা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়, স্বরূপনগর থানার খদ্দর সিংয়ের বাসিন্দা সম্রাট ঢালীর। তাদের ৯ ও ৫ বছরের দু’টি কন্যা সন্তানও আছে। সম্রাট পেশায় ছুতোর মিস্ত্রি। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে অর্থ ও আসবাব দাবি করত সে। অলস প্রকৃতির সম্রাটের সঙ্গে এনিয়ে একাধিকবার গন্ডগোল বাধে তহমিনার। মৃত বধূর পরিবারের দাবি, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোলের জেরে গ্রামে একাধিকবার সালিশি সভা বসানো হয়। তবে সভায় সমাধান সূত্র মেলেনি। এক বছর আগে তহমিনা বাপের বাড়ি বাদুড়িয়া থানার পশ্চিম জয়নগর গ্রামে চলে আসে। গত ৯ জুন তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের অভিযোগ, তাঁর স্বামী সম্রাটই মোবাইলে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় তাঁকে। মৃত তহমিনার বাবা নুর ইসলাম মোল্লার দাবি, অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক অভিযুক্তকে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, চাইছেন তাঁরা। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। স্বামী পলাতক।