খানাকুল : বৃষ্টি কমে গিয়েছে। তবুও জল যন্ত্রণায় কাহিল খানাকুলবাসি। রাস্তার উপর দিয়ে দোকান বাজার ডুবিয়ে জলের স্রোত বয়ে চলেছে। কবে স্বাভাবিক হবে জন-জীবন জানা নেই।
নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি না হলেও রূপনারায়ণের বাঁধ দিয়ে জল ঢুকছে খানকুলে। যার জেরে দক্ষিণ খানাকুলের ধান্যঘরি, জগতপুর, শবলসিংহপুর, রাজহাটি-১, রাজহাটি-২, মারোখানা পঞ্চায়েতগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ছোট ছোট ডিঙি নৌকা।
রাজহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেবাশিষ সামুই এদিন বলেন, ‘জল বন্দী অবস্থায় আর কতদিন কাটাতে হবে,পানীয় জল নেই খাবার আনতে নৌকা করে আর কতদিন যেতে হবে তা এখনও জানা নেই। চাষের জমি জলের তলায়,কাজকর্মও বন্ধ। পুজোর আগে একশ দিনের কাজ করে সংসার চালাবার উপায়ও নেই। বেঁচে থাকার লড়াই চালাতে হচ্ছে তাঁদের।’
জলমগ্ন খানাকুল, বিঘ্নিত স্বাভাবিক জীবন
আরও পড়ুন – পুজোর আগেই বন্যার আশঙ্কায় ভাগীরথী তীরবর্তী বাসিন্দারা
বাসাবাটি গ্রামের কমলা বারিক নৌকা করে ত্রান নিতে এসেছিলেন খানাকুল ব্লকে। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে কোনো খাবার নেই ছোটো বাচ্চা আছে কান্নাকাটি করছে তাই নৌকা করে খাবার নিতে এসেছি। বাড়ি গেলে খেতে পাবে’
বান্নানের শ্রীকান্ত মন্ডল বলেন,’বাড়ি ঘর সব ডুবে গেছে। একজনের ছাদে আশ্রয় নিয়েছি। বাঁধে খাবার পাওয়া যাচ্ছে শুনে এসেছি। বাড়িতে স্ত্রী ছেলের মুখে কিছু দিতে পারি যদি।’
আরও পড়ুন – স্কুল সংস্কারে ১০৯ কোটি বরাদ্দ রাজ্যের
বৃষ্টি না হলেও দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার ফলে বিপাকে খানাকুলবাসি। বর্তমানে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কমানো হলেও স্বাভাবিক জীবনে কবে ফিরতে পারবেন তাঁরা সে বিষয় এখনও অনিশ্চিত।