ইসলামাবাদ: চলতি বছরের শুরুতেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, যারা মন্দির ভেঙেছে, তাদেরকেই মন্দির গড়ে দিতে হবে৷ নতুন করে গড়া সেই মন্দিরের উদ্বোধন করলেন আদেশকারী৷ তিনি পাকিস্তান শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ৷ মঙ্গলবার ওই মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকে পুজো দিতে পারছেন পাকিস্তানের হিন্দুরা।
জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজুলের কিছু সমর্থক ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের করক জেলার তেরি গ্রামের প্রাচীন মন্দিরে ভাঙচুর চালায়। মন্দিরের মূল্যবান সামগ্রীও লুট করার অভিযোগ ওঠে। মারধর করা হয় ৯২ জন পুলিশ কর্মীকে। এই ঘটনার পরে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ‘ইভ্যাকুই প্রপার্টি ট্রাস্ট বোর্ড (ইপিটিবি)’-কে মন্দির তৈরি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-অচৈতন্য ব্যক্তিকে কাঁধে তুলে হাসপাতালে ছুটলেন মহিলা পুলিস, ভাইরাল ভিডিও
মঙ্গলবার সেই মন্দিরের উদ্বোধনের পর প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ বলেন, ‘পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে সর্বদা সরব। ভবিষ্যতেও তা-ই থাকবে।’ সংবিধানের কথা উল্লেখ করে আহমেদ আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মতো হিন্দুদেরও সমান অধিকার রয়েছে। অন্যের ধর্মস্থান ধ্বংস করার অধিকার কারও নেই।’
এদিকে মন্দির নতুন করে গড়ে দেওয়ায় সেখানকার হিন্দুরা অনেকটাই খুশি৷ আরও খুশি প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে৷ পাকিস্তানের হিন্দুরা আহমেদকে পাগড়ি ও ডিজিটাল কোরান উপহার দিয়েছে।