নয়াদিল্লি: ত্রিপুরা (Tripura Political Violence) ও বাংলায় পুরভোট ঘিরে বিজেপি-র সঙ্গে সংঘাতের আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে আজ, বুধবার বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, বিকেল পাঁচটা নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরেই এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। মমতার এ বারের দিল্লি সফরের অন্যতম উদ্দেশ্যই, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক। দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, বিএসএফ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে জানাব। এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়ব না। এ ছাড়া একাধিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সামনে সরব হবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। রাজ্যের একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ নিয়েও কথা হবে। ফলে, মোদি-মমতা বৈঠক সবদিক থেকে তাত্পর্যপূর্ণ হতে চলেছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ফের একবার রাজ্যের বকেয়া নিয়ে সরব হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। বারবার তিনি অভিযোগ করেছেন যে, কেন্দ্র টাকা কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছে। কিন্তু কিছুই দিচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে এই বৈঠকে ফের একবার বকেয়া অর্থ নিয়ে সরব হতে পারেন মমতা। এ ছাড়াও রেশন সহ একাধিক বিষয় নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা কথা হতে পারে। ত্রিপুরার রাজনৈতিক হিংসার প্রসঙ্গও তুলতে পারেন। চার দিনের সফরে সোমবার দিল্লি পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৯ নভেম্বর সংসদে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে ২৫ নভেম্বর দিল্লি থেকে বাংলায় ফিরছেন মমতা।
আরও পড়ুন-কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে শীতকালীন অধিবেশনে বিল আনছে কেন্দ্র
সর্বভারতীয় ভাবে নিজেদের সংগঠনকে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদি বিরোধী মুখ হিসেবে দ্রুত সামনে আসছেন। দিল্লিতে বসে কীর্তি আজাদ সহ একাধিক ব্যক্তিত্বকে যোগদান করিয়ে কংগ্রেসকে বড় বার্তাও দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা নিজেও জানিয়েছেন, তৃণমূলকে তিনি আরও অনেক রাজ্যে দেখতে চান। তার মধ্যে পঞ্জাব ও হরিয়ানাও রয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, ‘সব রাজ্যকে নিয়ে আমি এগোতে চাই।’ ফলে গোটা দেশের মিডিয়ার নজর থাকবে বুধবারের মোদি-মমতা বৈঠকের দিকে।