বীরসিংহ: শিক্ষার প্রসারে বিদ্যাসাগর অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর নিজের জন্মভূমিতেই আজও বহু মানুষ নিরক্ষর। তাই বিশ্ব সাক্ষরতা দিবসে মহাকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে বিদ্যাসাগরের জন্মভূমি বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরেই সাক্ষরতা অভিযান শুরু হলো। বুধবার নিরক্ষর বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিয়ে শুরু হলো পাঠশালার কর্মসূচি।
বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদান করে সাক্ষরতা অভিযান শুরু জেলা প্রশাসনের।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে কয়েকশো পরিবার বসবাস করে। এই গ্রামেই ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই গ্রাম থেকেই শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। অথচ, একবিংশ শতাব্দীতে সেই গ্রামেই নিরক্ষর রয়েছেন ৬৩ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। বিদ্যাসাগরের দুইশোতম জন্ম দিবস পালন করতে গিয়ে ২০১৯ সালে এক পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছিল গ্রামজুড়ে ৬৩ জন মানুষ এখনও নিরক্ষর। এই ৬৩ জন বৃদ্ধ- বৃদ্ধাকে নিয়ে ৫ জন শিক্ষক বীরসিংহ গ্রামে চারটি কেন্দ্রে নিরক্ষরমুক্ত অভিযান শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন-আইসিএসই- আইএসসি পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘোষণা
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস বুধবার বিকেলে ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগরের জন্ম ভিটেতে কর্মশালার আয়োজন করে ঘাটাল মহাকুমা প্রশাসন। সূত্রের খবর, প্রায় দুই বছর আগে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিরক্ষর মানুষদের স্বাক্ষর করার জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিলেও করোনা আবোহায়ে কর্মশালা বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে আবার সেই কর্মশালার নতুন করে শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-চতুর্থ স্তম্ভ: আবার দাঙ্গা চায় বিজেপি
এদিন ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মস্থানে নিরক্ষর ও অল্প শিক্ষিত গ্রামবাসীদের নিয়ে নিরক্ষরতা দূরীকরণের শপথ বাক্য পাঠ করান মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারীকরা। মহকুমা জানান, বিদ্যাসাগরের ২০২ তম জন্মদিবসের আগে বীরসিংহ গ্রামকে পূর্ণ স্বাক্ষর করার লক্ষ্যেই নেওয়া হয়েছে।