ধূপগুড়িঃ বৈদ্যুতিক চুল্লিতে দেহ পোড়াতে গিয়ে বিপত্তি। বৈদ্যুতিক চুল্লি থেকে একবার নয় বারবার বেরিয়ে আসছে যুবকের অর্ধ দগ্ধ দেহ। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ধূপগুড়ি শ্মশানে।
আরও পড়ুন রেলের ঠিকাদারকে তোলা চেয়ে হুমকি, অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাতে পথ দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয় যুবকের। ধূপগুড়ি পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডের পাল পাড়ার যুবক সে। ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার সকালে যুবকের মৃত দেহ পাঠানো হয় স্থানীয় হাসপাতালে । বিকেলের পর সেই মৃতদেহ নিয়ে ধূপগুড়ি শ্মশানে আসেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু ধূপগুড়ি মহাশ্মশানে মৃতদেহ পোড়ানোর সময় অর্ধেক পোড়ানো হতে না হতেই মৃতদেহটি নিচে পড়ে যায়। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্য ও আত্নীয় স্বজনরা।
আরও পড়ুন পাড়ার ক্লাব উদয়ন সঙ্ঘে বড় করে পুজো চাইছেন না পার্থ
তাঁদের অভিযোগ ইলেকট্রিক চুল্লিতে যিনি মৃতদেহ পোড়ানোর কাজ করেন তিনি তাঁর কাজ সঠিক ভাবে করতে পারেননি। তাই এই ধরনের পরিস্থিতি হয়েছে। এর পরেই পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠতে থাকে। রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সেই মৃত যুবকের আত্মীয় পরিজনরা।ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় শ্মশান চত্বরে। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। একইসঙ্গে ঘটনাস্থলে আসেন ধূপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং। মৃতের পরিবারকে কোনও রকমে সামাল দেন পুলিশ।
আরও পড়ুন বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ডার্ক চকোলেট
শেষমেশ যান্ত্রিক গোলযোগ কাটিয়ে যুবকের মৃত দেহ দাহ করা সম্ভব হয়। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পৌর প্রশাসন। এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। তাঁদের একাংশের অভিযোগ এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও ঘটছে। মাঝে মধ্যেই এই বৈদ্যুতিক চুল্লি বিকল হয়ে যায়। একাধিকবার বলার পরেও এই বিষয়ে কোনও ভুমিকা পালন করেনি শ্মশান কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন তমলুক আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের ভ্যান থেকে পালালো বন্দি