প্রাচীন হরপ্পান স্থান ধোলাভিরাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করল ইউনেস্কো। মঙ্গলবার টুইট করে একথা জানানো হয় ইউনেস্কোর তরফে। পাঁচটি বৃহত্তম হরপ্পান সিটির মধ্যে অন্যতম গুজরাটের ধোলাভিরা।১৯৬৭ থেকে ১৯৬৮ সালে গুজরাটের প্রত্নতত্ত্ববিদ জেপি যোশী হরপ্পান এই শহরটিকে আবিষ্কার করেন। ভারতের পাঁচটি বৃহৎ এবং বিখ্যাত হরপ্পান শহরের মধ্যে ধোলাভিরা অন্যতম ।
আরও পড়ুন পূর্বস্থলী থানার পুলিশের জালে হাফ ডজন মহিলা ছিনতাইকারী
ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের মতে ‘ধোলাভিরা হল একটি হরপ্পান সিটি। ২০১৯ থেকে ২০২০ সালে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্থানের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে এই জায়গা ।যা বর্তমানে ভারতে অবস্থিত সিন্ধু সভ্যতার সাথে সম্পর্কিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক একটি স্থান।’ শহরটির তার অনন্য বৈশিষ্ট্যর জন্যই বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে। পৃথক জল নিকাশি ব্যবস্থাপনা, বহু-স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, নির্মাণে পাথরের বিস্তৃত ব্যবহার এবং বিশেষ সমাধি কাঠামো যা ধোলাভিরাকে একটি বিশেষ মাত্রা দিয়েছে। ৪৪ তম বর্ষে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি অফ ইউনেস্কো ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে ভারতের অপর একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্থান । তেলেঙ্গানার মন্দির রমাপ্পা বা রুদ্রেশরা মন্দিরকে রবিবার ভারতের অন্যতম হেরিটেজ স্থান হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কো।করোনার কারণে গত বছর এই নিয়ে ইউনেস্কোর বার্ষিক মিটিং বাতিল হয়ে যায়। জার জন্য সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি স্থগিত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন কর্ণাটকের নয়া মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই
এ বিষয়ে মঙ্গলবার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি। তিনি জানিয়েছেন “আমার সহকর্মী তথা ভারতীয়দের সাথে এই আনন্দ ভাগ করতে পেরে গর্ব অনুভব হচ্ছে। ধোলাভিরা বর্তমানে ভারতের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি স্থান। যা ইউনেস্কোর দ্বারা স্বীকৃতি পেয়েছে।’
আরও পড়ুন চটজলদি ব্রেকফাস্টের জন্য রইল দুর্দান্ত ৫টি স্মুদি রেসিপি
পাশাপাশি এ বিষয়ে মঙ্গলবার টুইট করতেও দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তিনি জানিয়েছেন,‘ধোলাভিরা একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর।যা ভারতীয়দের অতীতের সাথে বেশ পরিচিত ।যারা বিশেষত দেশের ইতিহাস সংস্কৃতি এবং প্রত্নতত্ত্ব সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী তাঁদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এই জায়গাটি।
আরও পড়ুন শিঙাড়াতেই থাক আলু, মাংসের ঝোলে আর দেবেন না