অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের জেনারেল বডিতে প্রাক্তন ফুটবলার রাখার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে জেনারেল বডিতে ৩৬টি রাজ্য সংস্থার সঙ্গে ৩৬জন প্রাক্তন ফুটবলারকেও রাখতে হবে। এই ৩৬জন প্রাক্তনের মধ্যে ২৪জন পুরুষ এবং ১২জন মহিলা ফুটবলার থাকবেন। তাদের অন্তত একটি করে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এবং জেনারেল বডির সভায় এই প্রাক্তনদের ভোটাধিকার থাকবে। ফিফা যদিও বলেছিল ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফেডারেশনের নির্বাচন করতে হবে, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন আগস্টের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। জানা গেছে সি ও এ চাইছে ২৮ আগস্ট হবে নির্বাচন। গণনা হবে তার পরের দিন অর্থাৎ ২৯ আগস্ট। তবে যে সব কর্তা ১২ বছরের বেশি সময় ধরে ফেডারেশনের কোনও না কোনও পদে রয়েছেন তারা আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
ফুটবল ফেডারেশনের নানারকম অনৈতিকতার প্রতিবাদ করেছিলেন ভাষ্কর গাঙ্গুলি সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য সংস্থা। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট তিন সদস্যের একটি প্রশাসনিক কমিটি গড়ে দেয় যারা এত দিন ফেডারেশনের দৈনন্দিন কাজ চালাত। এই কমিটিতে আছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিচারপতি অনিল দাভে, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি এবং ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাষ্কর গঙ্গোপাধ্যায়। এই কমিটি ফেডারেশনের জেনারেল বডিতে প্রাক্তন ফুটবলারদের রাখার সুপারিশ করেছিল। আজ সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যাতে আছেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালার রায় দিয়েছেন দশ দিনের মধ্যে প্রাক্তন ফুটবলারদের তালিকা তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন রাজ্য সংস্থা এবং ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করে এই ৩৬জন প্রাক্তন ফুটবলারকে চূড়ান্ত করতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চ বলেছেন, “জাতীয় ফুটবলের সুষ্ঠূ বিকাশের জন্য প্রাক্তনদের অন্তর্ভূক্ত করলে বিরাট লাভ হবে।”
ভারতীয় ফুটবলের অচলাবস্থা কাটাতে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় খুবই কাজে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই মাসের মধ্যেই নির্বাচন। যার অর্থ সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই নতুন কর্মসমিতি দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবে। ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল প্যাটেল আগেই পদত্যাগ করে চলে গেছেন। বেতনভুক সচিব কুশল দাসও তাই। নতুন সভাপতি কে হন তাই এখন দেখার। বাংলার সুব্রত দত্ত ২০০৪ থেকে ফেডারেশনের সহসভাপতি। বর্তমানে তিনি সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ১৮ বছর ধরে তিনি স্বপদে রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিনি আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।