চ্যানেল বিদ্বেষ শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনের ফাঁকে সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতা টিভির প্রতিনিধির এক প্রশ্নের উত্তরে চ্যানেল সম্পর্কে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করেন ওই বিজেপি বিধায়ক।সেখানেই অবশ্য থেমে থাকেননি বিধানসভায় বিরোধীদলের নেতা শুভেন্দু।কলকাতা টিভি লোগোর সঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল লোগো সম্পর্ক টেনে কুরুচিকর মন্তব্য করেন তিনি। কলকাতা টিভির বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর এহেন উষ্মা অবশ্য নতুন নয়। বিগত বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী কিংবা মুখপাত্রের ভূমিকায় যখন যে জেলায় প্রচারে গিয়েছেন সেখানেই কলকাতা টিভির প্রতিনিধিদের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। কখনো হাত দিয়ে প্রতিনিধিদের বুম সরিয়ে দিয়েছেন তো কখনও কলকাতা টিভির সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে নিজের ক্ষোভ গোপন রাখেননি শুভেন্দু। এমনকি অনেক সময় সৌজন্যে প্রদর্শনের ধারও ধারেননি অধুনা এই বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন তুষার মেহেতার বাড়ির দরজায় কুণাল
মঙ্গলবার বিধানসভার সাংবাদিক বৈঠকে কার্যত তারই নির্যাস দেখলেন অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা। প্রশ্ন এটাই, সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের নিমন্ত্রণ করে যদি কেবল নিজের কথাই শোনাতে হয়, তাহলে আর সাংবাদিক বৈঠক ডাকা কেন?
আরও পড়ুন সঞ্জয়ের নতুন ছবিতে মাধুরীর সাথে কে?
আর যদি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন নেওয়ার মতো ধৈর্য না থাকে তাহলে নিজের বক্তব্য লিফলেট করে বিলিয়ে দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। এটাও ঠিক বহু ক্ষেত্রে শাসক বিরোধী দলের নেতারা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রশ্ন শুনতে চান না বললেও উত্তর দেন না। সাংবাদিকদের এটা গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাই বলে কোন রাজনৈতিক দলের লোগোর সঙ্গে কোনও সংবাদমাধ্যমের লোগোর সম্পর্ক টেনে সুপারিশের ছলে বিরূপ মন্তব্য করা যায় কিনা সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। কার্যত মঙ্গলবার বিধানসভায় সেই কাজটি করে দেখালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন কলাইকুন্ডায় বায়ু সেনার দায়িত্বে রণ সিং
অধিবেশনের শেষে বিধানসভায় বসে শাসকদলের এক বিধায়কের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে, শুভেন্দুর বক্তব্য, এসব কথা অসাংবিধানিক ও অসৌজন্যের প্রতীক। প্রশ্ন এটাও তিনি নিজেই কি সেই অসৌজন্যের বার্তা দিচ্ছেন না?
আরও পড়ুন রাজভবনে পাঠানো চিঠির ‘প্রতিলিপি’ দেখিয়ে চাকরির টোপ, গ্রেফতার ৮
https://youtu.be/Z71Djv1r6bs