করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করতে সারা দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও চলছে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া৷ এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাজ্যে একসঙ্গে ১০ লক্ষ কোভিশিল্ড টিকা এসে পৌঁছল পুনে সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় ভ্যাকসিন৷ এই মুহূর্তে রাজ্যে প্রায় ২০ লক্ষ ভ্যাকসিন রয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে৷ সরকারি মেডিক্যাল বুলেটিন মারফত জানানো হয়েছে, রাজ্যে ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ কমেছে৷ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত থাকায় তৃতীয় দফার বিধি-নিষেধ অনেক ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে৷ অন্যদিক যাঁরা ভ্যাকসিন পাননি তাঁদের জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে৷
আরও পড়ুন কোভ্যাকসিনের ছাড়পত্রে ‘না’ এফডিএ’র
তবে রাজ্যের ৯০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ করার মতো পর্যাপ্ত টিকা এখনও এসে পৌঁছয়নি রাজ্যের হাতে, এমনটাই দাবি স্বাস্থ্য দফতরের৷ পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার থেকে ১০ লক্ষ কোভিশিল্ডের ডোজ আসায় ভ্যাকসিনের সংকট আপাতত নিয়ন্ত্রণে। এগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজ্যের কাছে আগে থেকেই ১০ লক্ষ ডোজ মজুত আছে৷ এ দিন কলকাতায় ভ্যাকসিন এসে পৌঁছনোর পর তা নিয়ে যাওয়া হয় বাগবাজার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে৷
আরও পড়ুন রাজ্যে পৌঁছল ৭ লক্ষের বেশি ভ্যাকসিন
সেখান থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বন্টন করা হবে ভ্যাকসিন৷ বন্টন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করবে স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা৷ এর আগে ১০ মে রাজ্যে ৭ লক্ষ কোভিশিল্ড এসেছিল৷ তবে রাজ্যের অভিযোগ, কেন্দ্র অন্যান্য রাজ্যগুলিকে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন দিলেও বঞ্চনা করছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে৷ এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, কেন্দ্রের কাছে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন চাওয়া হচ্ছে তার থেকে অনেক কম ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে৷ এর জেরে রাজ্যকে ভ্যাকসিন কিনেও নিতে হয়েছে৷ তবে এই নতুন কনসাইনমেন্ট আসার ফলে পরবর্তী কয়েকদিনে ভ্যাকসিনের সংকট কিছুটা হলেও কমবে।