কলকাতা: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১। তারপর ১৬ নভেম্বর ২০২১। এই দীর্ঘসময় পার করে ফের খুলল স্কুল। ফেব্রুয়ারিতে মাত্র কিছুদিনের জন্য নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা যেতে পেরেছিল। তারপরই কোভিডের দু‘নম্বর ঢেউয়ের তোড়ে সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আজ এত দীর্ঘ সময় পর ফের চেনা দৃশ্যগুলোর মুখোমুখি আমরা। যাওয়ার পথেই চোখে পড়লো পাশ কাটিয়ে যাওয়া সাইকেলে এক দল ছাত্রের ছটফটে গতি। এই তো আবার স্কুলপাড়া সরগরম। এর মধ্যে যতদিন নানান কাজে স্কুলে যেতে হয়েছে সে রাস্তা ছিল নির্জন, একেবারে প্রাণহীন। আজ সেই আগের মত ওদের সাথে আমিও ভিড়ে মিশে গিয়ে স্কুলের গেটচত্বর পার হলাম।
নিয়মের নামতা দীর্ঘ দু‘বছর ধরে মুখস্থ হয়ে গিয়েছে সবার। তবুও স্বাভাবিকে ফিরতে গেলে আরও সাবধানে পা ফেলা দরকার। এখনও তো সব আগের মত নয়। স্কুল মাতিয়ে রাখে যে সব কুচো বাচ্চারা তারা তো এখনও গৃহবন্দি। এইবারেও অনুমতি মিলেছে শুধু নবম থেকে দ্বাদশের।
আরও পড়ুন-চন্দন-গোলাপ-চকোলেটে পড়ুয়া বরণ, খুলল কলেজের দরজা
প্রত্যেক ক্লাসের প্রত্যেক সেকশনকে দু‘টো ইউনিটে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। সেইমত বসার বন্দোবস্ত। নিয়মিত রুটিনের এক ঘণ্টা সময় এগিয়ে এসেছে। টিফিনের সময়ও বদলেছে। টিফিনের পরের ক্লাসে গিয়ে দেখা গেল সবাই তখন টিফিন খাচ্ছে! অবাক হলাম! তারপর ভুল ভাঙল… ওরা তো জানেই না স্কুলের ঘণ্টাগুলো আর আগের সময়, নিয়ম কিছুই মানছে না! সে কী হুল্লোড়! খুব গল্প আর মাস্কেও ঢাকা পড়ছে না প্রাণের উচ্ছ্বাস।
সকলেই চাই সুস্থতা, স্বাভাবিকতা… এই কোলাহল মনের মধ্যে আটকে থাকা দমবন্ধ অস্বাভাবিকতাকে আরাম দিচ্ছে। ওদের তাই বললাম, এই রকম আনন্দে থাকতে, স্কুলে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে হলে সব নিয়ম মেনে চল।