জলপাইগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরও তিস্তা নদীর বুকে চলছে দেদার বালি খনন। প্রশাসনের নাকের ডগায় বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য চলছে জলপাইগুড়ির রঙধামালি এলাকায়। স্থানীয়রা বারবার প্রশাসনে খবর দিলেও কেন পুলিস কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এইসব অবৈধ বালি বোঝাই ডাম্পার এবং লরির দৌরাত্ম্যে জীবন ওষ্ঠাগত স্থানীয় বাসিন্দাদের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, অবৈধভাবে নদী থেকে বালি পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। তারপর জেলায় জেলায় প্রশাসনের তৎপরতা চোখে পড়েছিল। কিন্তু জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের ছবিটা আলাদা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেখানে কোথাও শুধু বালি উত্তোলন নয়, তারই সঙ্গে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে পুকুর ও নয়ানজুলি। বারবার প্রশাসনকে জানালেও তারা কোনও পদক্ষেপ করছে না বলেই অভিযোগ। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সন্ধের পর থেকে শহরের রাস্তা অবৈধ বালি বোঝাই গাড়ির দখলে চলে যায়। সেই সাথে ধুলোয় জেরবার সাধারন মানুষ। প্রত্যেকেই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ জলপাইগুড়ি সদর ব্লকেও কার্যকর হোক।
আরও পড়ুন: UP Rape Case: রাজ্য পুলিসে আস্থা নেই ধর্ষণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত ললিতপুরের পুলিস অফিসারের
দিন কয়েক আগেই জলপাইগুড়ি জেলার মাল মহকুমার ঘিস নদীতে বেআইনি বালি পাথর কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিস অভিযান চালায়। সেইসময় বালি মাফিয়াদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও বাধে। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিস কর্মী। গ্রেফতার করা হয় সাতজন বালি মাফিয়াকে। তবে জলপাইগুড়িতে কোনও পুলিসি অভিযান চালানো হচ্ছে না বলেই অভিযোগ আনছেন স্থানীয়রা।