বর্ধমান: শনিবার মণিপুরে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় আসাম রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার বিপ্লব ত্রিপাঠীর৷ তাঁর সঙ্গে আসাম রাইফেলের চারজন জওয়ানও শহীদ হন। তাঁদের মধ্যে এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা শহীদ শ্যামল দাসও রয়েছেন৷ তাঁর দেহ রবিরার গুয়াহাটি থেকে বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে পানাগড়ের অর্জূন সিং বায়ু সেনা ছাউনিতে আনা হয়৷ রাতে সেখানেই দেহ থাকবে৷ তারপর সেখান থেকে সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের বাড়িতে পৌঁছবে৷
এ দিন সেনার তরফে এক সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, ৪৬ আসাম রাইফেলসের রাইফেলম্যান শ্যামল দাসের মৃতদেহ পানাগড় সামরিক স্টেশনে আনা হয়েছিল৷ বীর সৈনিকের বীরত্ব, সাহসিকতা এবং ত্যাগের জন্য তাঁর মরদেহ পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মান জানানো হয়েছিল৷ সাহসী হৃদয়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছিল। রাইফেলম্যান শ্যামল দাসের শেষকৃত্যের জন্য ১৫ নভেম্বর সোমবার পানাগড় থেকে তাঁর জন্মস্থান খড়গ্রাম, জেলা মুর্শিদাবাদে নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন – মায়ানমার হয়ে মণিপুরে ঢুকে অসম রাইফেলসের অফিসারের গাড়িতে হামলা জঙ্গিদের
মৃত শ্যামল দাস ২০০৯ সালের নভেম্বরে অসম রাইফেলসে যোগ দিয়েছিলেন। দুর্গাপুজোর আগেই গ্রামে ফিরেছিলেন তিনি। আর উৎসবের রেশ কাটার আগেই শনিবার দুপুরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার কথা পরিবারের লোকজন জানতে পারে। জওয়ানের দেহ ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা দাস ও তাঁর একমাত্র মেয়ে দিয়া দাস-সহ পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা।