আগের ম্যাচে বরোদার রান টপকে ম্যাচ জিতিয়ে ছিল বাংলার ব্যাটিং। এই ম্যাচ বাংলাকে জিতিয়ে দিতে পারে বাংলার বোলিং। ম্যাচের তৃতীয় দিনের শেষে বোলাররা সেই আশা দেখছেন। প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে এগিয়ে থাকার পর, শনিবার ২০১ রানে দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করে বাংলা। হায়দারবাদের সামনে ম্যাচ জেতার ২৩৯ রান। কিন্তু দিনের শেষে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের রাজ্য সিনিয়র দল ১৬ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে। বাকি ৭ উইকেটে ২২৩ রান তুলে ম্যাচ জিততে হবে হায়দারবাদকে। বাংলার তিন পেসারই একটি করে উইকেট নিয়েছেন। ১৩.২ ওভার ব্যাট করে ১৬ রান এসেছে প্রতিপক্ষের।
ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হয়ে যাবে – রবিবার ( খেলার শেষদিন) প্রথম দুটি ঘণ্টায়। লাঞ্চের আগেই বাংলার বোলারদের ম্যাচ নিজেদের দিকে টেনে নিতে হবে।
শনিবার বাংলার ব্যাটারদের মধ্যে কেবলমাত্র শাহবাজ আহমেদ পঞ্চাশের গন্ডি টপকে যেতে পারলেন। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৫১ রানের ইনিংসটি না খেললে বাংলার কপালে দুঃখ ছিল। সঙ্গে ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নামা অনুষ্টুপ করলেন ৪২ রান। এই দুজনে মিলে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৫ রান করে নেন। ৫ উইকেটে ১১৮ থেকে তাই রান ২০০-র গণ্ডি টপকে যায়। মনোজ তিওয়ারি (১০) আর অভিষেক পোড়েল (০) রান আউট হয়ে ফেরেন। আর ছিল ঋত্বিক রায় চৌধুরীর (৪১) আর দলের নেতা ঈশ্বরণের (২৪) কিছু রান।
অবাক করার ব্যাপার হল, বাংলার পেসাররা যখন ম্যাচে বেশি উইকেট নিচ্ছেন, বাংলার ব্যাটাররা তখন উইকেট দিলেন লেফট আর্ম স্পিনার (৩/৪৪) আর অফ স্পিনার তিলক ভার্মাকে (৩/১৩)।
ঈশান, মুকেশ, আকাশদের পালা এবার।
বাংলার তিন পেসারের বোলিং বিশ্লেষণটা সরাসরি ম্যাচ জেতার আশা দেখাচ্ছে। ঈশান পোড়েল ( ৩-৩-০-১), মুকেশ কুমার (৬-৩-১১-১),আকাশদীপ(৩.২-১-৫-১)। সঙ্গে স্পিনার শাহবাজ আহমেদ এক ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। মেডেন নিয়েছেন।
প্রতিদিন সকালে বরবাটি স্টেডিয়ামের উইকেটে পেসার বাড়তি পেয়ে চলেছে। রবিবসরীয় আসরে বাংলার ভাগ্যে জয়লক্ষ্মী প্রাপ্তি জোটে কিনা। নাকি রবি তেজা আবার শক্ত বাধা হয়ে ওঠেন।
ছবি: সৌ সিএবি , টুইটার।