বীরভূম: রামপুরহাটে তৃণমূল নেতা খুনে (Rampurhat Clash) ১০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুড়ে মৃত ১০ জন। সোমবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে স্থানীয় তৃণমূল উপপ্রধান খুন হন। তার পরেই প্রতিশোধের আগুন ছিটকে পড়ে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। সন্দেহবশত গ্রামের ১০টি বাড়িতে পর পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে দমকল সূত্রে জানা যায়, মোট ১০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় গোটা গ্রাম উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।গোটা এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে।
ডিজি দাবি করেন, রামপুরহাটের অগ্নিকাণ্ডে সাত জনের পোড়া দেহ এ দিন সকালে উদ্ধার হয়। সোমবার রাতে উদ্ধার করা তিন জনের মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ১১ জনকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার জন্য স্থানীয় থানার আইসি ও মহকুমা পুলিস আধিকারিককে ক্লোজ করা হয়েছে।পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের সরকারি প্রতিনিধি দল রামপুরহাটে পৌঁছেছেন।
গ্রামের ১০টি বাড়িতে পর পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়
আরও পড়ুন Rampurhat Violence: তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বেই কি সোনা শেখের
রামপুরহাটের বরশাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন (Rampurhat Violence) করা হয় সোমবার রাতে। বগটুই গ্রামে তারপর বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিরোধীদলগুলি এই নিয়ে মুখিয়ে ওঠার আগেই মুখ্যমন্ত্রী কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মেনেই নবান্নে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি। সেখানেই সিট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এই সিটে রয়েছেন জ্ঞানবন্ত সিং, মিরজ খালিফ ও সঞ্জয় সিং।
আরও পড়ুন Rampurhat Clash: রামপুরহাট হিংসার ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক নবান্নে