আগের ম্যাচে কটূক্তি শুনতে হয়েছিল লিওনেল মেসিকে। রবিবার প্রথম একাদশে ছিলেন না দলের তারকা ফুটবলার মেসি। দলের বাকি দুই তারকা ফুটবলার এমবাপে-নেইমার অবশ্য ছিলেন। এই জুটিকে নিয়ে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও কাজের কাজটি করতে পারেনি পিএসজি। লিগ ওয়ানের পয়েন্ট টেবিলে নিচের দিকে থাকা মোনাকোর বিপক্ষে কুপোকাত হতে হল লিগের শীর্ষ দলটিকে। নিজেদের ২৯তম ম্যাচে মোনাকোর বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে হেরে গেল পিএসজি।
ম্যাচের ৬১ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ছিল পিএসজি। মোনাকোর মতো সমানসংখ্যক ১৩টি শট নিলেও একটি বারও বিপক্ষের জালে বল পাঠাতে পারেনি পিএসজি। উল্টো দিকে ৩৯ শতাংশ সময় বল দখলে পাওয়া মোনাকো বিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে ৮টি শট নিলে, তার মধ্যে ৩টিতে গোল করে নেয়।
এই ম্যাচে চোখে পড়েন মোনাকোর থিয়াগো সিলভা। তিনি পিএসজি ছেড়ে যেতেই নাকি তাঁর খেলার ধার বেড়ে গেছে! আর বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েও এই ম্যাচে নিজের দক্ষতার প্রতি সুবিচার করতেই পারেননি এমবাপে।
এই ম্যাচটি কিন্তু একটা জিনিষ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। এই মরশুমে মেসি নিজে মাত্র ২ টি গোল করলেও ১০ টি গোল করিয়েছেন। অর্ধেকের বেশি ম্যাচই খেলেননি মেসি। দলকে জেতানোর কাজটি মেসি করে চলেছেন। নিজের গোল করার চেয়ে, দলের জয়ের জন্য রাস্তা খুলেছেন প্রতি ম্যাচে।
পিএসজি এদিন মাঝমাঠের খেলাটা ধরতেই পারেনি। তাই মেসি আর ভারাত্তি মাঠে থাকা আর না থাকার মধ্যে অনেকটা ফাঁরাক। মেসি গোল করতে পারছেন না বলে, তাঁকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করার চেয়ে – মাঝমাঠের বুনোট আরও জোরদার করা উচিত। আর মেসিকে বার্সেলোনা যেভাবে ব্যবহার করতো, সেইভাবে তাঁকে খেলতে দেওয়া দরকার।
পিএসজি শেষ ৬ টি ম্যাচের ৪ টিতে হেরে বসেছে। গত ৩ বছরে সবচেয়ে হতাশজনক ফল এবার।
ছবি: সৌ টুইটার।