রেল দুর্ঘটনার পর অমৃতাভ ছিলেন মাওবাদীদের ডেরায়। দাবি অমৃতাভর পরিবারের। দীর্ঘ সাত বছর পর সে বাড়ি ফিরে আসে। পরিবারের আরও দাবি, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল অমৃতাভ চৌধুরী।কান্নাকাটি করতেন তিনি। কিন্তু নিরুদ্দেশে থাকার পর তার ফিরে আসার খবর পুলিশে জানানো হয়নি। প্রশ্ন ওঠে পরিবারের কোনও সদস্য তার সাত বছর নিরুদ্দেশ থাকার পর ছেলে ফিরে এলে কেন পুলিশকে জানানোর প্রয়োজন মনে করলেন না।
পরিবারের সাফ জবাব, পুলিশকে জানালে যদি ছেলে সুইসাইড করে বসে, অথবা আবার কোথাও চলে যায় তাই পুলিশকে জানানো হয়নি। তবে তাঁর আত্মীয়দের দাবি, তিনি লুকিয়ে ছিলেন না। সত্যিই নিঁখোজ ছিলেন।
Read more : মৃত্যুর সাত বছর পরেও পৈতৃক ভিটেয়!
জ্ঞানেশ্বরী কান্ডে রবিবার অমৃতাভ চৌধুরী ও তাঁর বাবা মিহির চৌধুরীকে আটক করে সিবিআই। ২০১০ সালের ২৮ মে রাত ১টা নাগাদ, ঝাড়গ্রামের কাছে লাইনচ্যুত হয় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। সেদিন ওই ট্রেনে সওয়ার ছিলেন অমৃতাভ চৌধুরী। দুর্ঘটনায় ১৪৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে রেলদফতর। সেই ১৪৮ জন মৃত যাত্রীর মধ্যে একজন ছিলেন অমৃতাভ চৌধুরী। ডিএনএ পরীক্ষা করার পর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয় রেলদফতর। নিয়ম অনুযায়ী রেলের তরফ থেকে চার লক্ষ টাকা ও অমৃতাভর বোনকে চাকরি দেয় রেলদফতর। বেশ কয়েক লক্ষ বীমার টাকাও হাতে আসে অমৃতাভর পরিবারের।
Read more : জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডে ‘জীবিত’কে ‘মৃত’, ধৃত ১
তাঁর পৈত্রিক বাড়ী মন্তেশ্বরের বামুন পাড়া গ্রামে। পৈতৃক বাড়ি ছিল মাটির। সাত বছর আগে সেটি দোতলা করা হয়।
মার্বেল বসিয়ে রুপ ফেরানো হয় সেই বাড়ির। সাত বছর পর দেখা যায় কামারপাড়ায় গড়ে উঠছে অমৃতাভ চৌধুরীর ৫ তলা ফ্ল্যাট বাড়ি। ইতিমধ্যে কয়েকটি দোকান বিক্রি করেছেন তিনি। কি করে মৃত ব্যক্তির আধার কার্ড তৈরি হল? কেনই বা মৃত ব্যক্তি অমৃতাভ চৌধুরী, ডাকনাম ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুললেন? উঠছে প্রশ্ন।