জম্মু ও কাশ্মীর: অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজী হল ঊপত্যকার গুপকার জোট। আগামী বৃহস্পতিবার মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন জম্মু-কাশ্মীরের ৬টি রাজনৈতিক দলের জোট গুপকার। মঙ্গলবার তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন গুপকারের চেয়ারপার্সন ডক্টর ফারুখ আবদুল্লা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে গুপকার বসবে কি না সে নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসে পিজিডিএ নেতারা। বৈঠক শেষ হলে গুপকারের চেয়ারপার্সন বলেন, ‘মেহেবুবা জি, মহম্মদ তারিগামি সাহিব ও আমি প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সব রাজনৈতিক দলের বৈঠকে যোগ দেবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আশা রাখছি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে আমরা আমাদের দাবি রাখতে পারব।’
বৈঠকের পর আর্টিকেল 370 বিষয়ে ইঙ্গিত করে পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি বলেন, জোট একসঙ্গে যে ব্যাপারে আলোচনা করতে বৈঠকে বসেছিল তা হল, ‘আমাদের থেকে কি নিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেটি অন্যায়, বেআইনী ও অসাংবিধানিক। যতদিন না আপনি তা ফিরিয়ে দিচ্ছেন, ততদিন আপনি উপত্যকায় শান্তি আনতে পারবেন না।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন, গত সপ্তাহে এই খবর সামনে এলে নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গুপকার জোট বৈঠকে বসবে কি না, তা নিয়ে দ্বিতীয়বার আলোচনায় বসে জোটের সব রাজনৈতিক দল। উপস্থিত ছিলেন পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতিও। সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরকে ফের রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে মোদির বৈঠক থেকে। পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে। ২০১৮ সালে উপত্যকায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। পরের বছর ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে দেওয়া হয়। দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয় জম্মু-কাশ্মীর কে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হয়। ঘরবন্দী করে রাখা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা ও ফারুক আবদুল্লার মতো নেতাকে। কিন্তু উপত্যকায় রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা কাটেনি। গত বছর স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লেয়ারেশন। এমন পরিস্থিতিতে উপত্যকায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৪ জুন বৈঠক ডেকেছেন বলে মনে করছেন অনেকে।