মালদহ: ঝাঁ চকচকে অফিস। সেখান থেকে চাকরী দেওয়ার নাম করে বেকার যুবক-যুবতীদের ডাকা হত। তার পর হাতিয়ে নেওয়া হত লক্ষ লক্ষ টাকা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মালদহ জেলার হবিবপুর থানার বুলবুলচন্ডীতে পুলিশ তল্লাশি চালায় ওই অফিসে। পাঁচজন কে অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কম্পিউটার ল্যাপটপ ছাড়াও বহু নথিপত্র।
আরও পড়ুন- ভুয়ো কল সেন্টার খুলে কোটি টাকার জালিয়াতি, গ্রেফতার ১০
বাইরে থেকে ওই অফিসে প্রতিদিন প্রচুর যুবক যুবতী আসতেন। অভিযোগ, চাকরী দেওয়ার নাম করে এই সব যুবক যুবতীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। অনলাইনেও পাতা হয়ে ছিল ফাঁদ। বেশকিছু দিন ধরে পুলিশের নজরদারি তে ছিল এই ভুঁয়ো অফিসটি। সাদা পোষাকের পুলিশ নজর রাখছিল। মঙ্গলবার জাল গুটিয়ে আনে পুলিশ। বুলবুলচন্ডীর ঐ অফিসে হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয় পাঁচ জনকে। এই প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা শুভঙ্কর সিনহা। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- ভুয়ো আধার কার্ড চক্রের পর্দা ফাঁস, গ্রেফতার ৩
অভিযোগ, মালদহ জেলার বেশ কিছু ব্লকে এই রকম আরও ভুঁয়ো অফিস খুলেছেন তিনি। সেগুলির সম্বন্ধে পুলিশ সুপার নিজে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। মূলত বুলবুলচন্ডীর এই অফিসে চাঁচল,হরিশ্চন্দ্রপুর,রতুয়া,গাজোল, বামনগোলা হবিবপুরের ছেলে মেয়েরা আসতেন চাকরীর জন্য। ধৃত পাঁচজনকে মঙ্গলবার মালদহ জেলা আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেছেন, ‘তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের আরো জিজ্ঞেসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমরা আদালতের কাছে পুলিশ হেফাজত চেয়ে আবেদন করেছি।’