বসিরহাট: বাঁশঝাড় উজাড় করে বারাসত বিদ্রোহের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে কালীপুজোয়৷ বাঁশ, লাঠি, বল্লভ, বার্নিশ তেল দিয়ে তৈরি হল ‘বাঁশের কেল্লা’৷ বসিরহাটের নবোদয় সংঘ ও গুঞ্জন ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে কালীপুজোর থিম ‘বাঁশের কেল্লা’ করা হয়েছে৷ যেখানে নীলকরদের অত্যাচার ও তাদের বিরুদ্ধে কৃষকদের বিদ্রোহের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে৷ এই ভাবেই বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বসিরহাট, সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন কালীপুজোর মণ্ডপে নানা থিম ধরা পড়েছে৷
তবে, প্রাশসনিক তৎপরতায় প্রতিটি পুজো মণ্ডপে করোনা বিধি মানা হচ্ছে৷ বুধবার সন্ধে থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু, প্রশাসনিক করোনা বিধি মেনে মণ্ডপে নো এন্ট্রি। রীতিমতো সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্যান্ডেলের চতুর্দিক খোলা, পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার, মাক্স, মণ্ডপ গুলোতে রাখা হয়েছে। চন্দননগরের বহু প্রাচীন আলোকসজ্জা ও মণ্ডপ রীতিমতো নজর কেড়েছে।
ক্লাব কর্তারা জানান, বারাসত বিদ্রোহের ইতিহাস সকলের জানা৷ যেখানে তিতুমীরের নেতৃত্বে নীলকরদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন কৃষকরা৷ ব্রিটিশদের কামান, বন্দুকের গুলি থেকে বাঁচতে বাদুড়িয়ার নারকেলবেড়িয়া গ্রামে তৈরি করা হয়েছিল ‘বাঁশের কেল্লা’৷ সেই আদলেই জলের উপর ভাসমান বাঁশের কেল্লা বানানো হয়েছে। পাশাপাশি নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার লড়াইয়ের বিভিন্ন প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে। পুরো মণ্ডপটাই তিতুমীর ও বাঁশের কেল্লার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ, লাঠি, বল্লভ, বার্নিশ তেল৷
আরও পড়ুন-ভূত চতুর্দশীর রাতে ভূষণ্ডির মাঠে কেমন আছে ভূতেরা?
ক্লাব সম্পাদক কল্যাণ বসু বলেন, ‘আমরা প্রতিবছরই বসিরহাটের মানুষকে কালীপুজোয় নতুন নতুন থিম উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি৷ এবার নিজেদের এলাকার ইতিহাস আমাদের ক্লাবের পুজোর থিমে তুলে ধরা হয়েছে৷ এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানানোর পাশাপাশি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে৷ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার বার্তা দেওয়া হয়েছে৷