এ এফ সি এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির জন্য দোহায় জর্ডনের সঙ্গে খেলতে গিয়েছিল ভারত। শনিবার কাতার স্পোর্টস ক্লাবের সেই ম্যাচে ভারতকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিল জর্ডন। দুটি গোলই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্দ্ধে। ৭৫ মিনিটে গোল করেন মহম্মদ আবু আমারাশ। আর ৯২ মিনিটে গোল করেন মহম্মদ আবু জারিক।
এশিয়ান কাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ভারতের তিনটি ম্যাচ জুন মাসের ৮, ১১ এবং ১৪ তারিখে। তিনটি ম্যাচই হবে কলকাতায়। ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী কম্বোডিয়া, আফগানিস্তান এবং হংকং। এই তিনটি দেশই ফিফা র্যাংকিংয়ে ভারতের অনেক নীচে। ভারতের র্যাংকিং এখন ১০৬। আর জর্ডনের র্যাংকিং হল ৯১। সেই বিচারে ভারতের থেকে এগিয়ে থাকা একটি দেশের বিরুদ্ধে ইগর স্টিমাকের ছেলেরা খুব খারাপ খেলেনি। এশিয়ার দেশ হলেও এর আগে দু দেশৈর মধ্যে মাত্র একবারই সাক্ষাৎ হয়েছে। সেই ম্যাচে ভারত হেরেছিল ১-২ গোলে।
স্টিমাক শনিবার যে দল নামিয়েছিলেন তা তাঁর প্রথম একাদশই। গোলে গুরপ্রীত সিং। চার ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল, সন্দেশ ঝিঙ্গন, আনোয়ার আলি এবং শুভাশিস বসু। চার মিডফিল্ডার হলেন অনিরুদ্ধ থাপা, আকাশ মিশ্র, গ্লেন মার্টিন্স এবং সাহাল আব্দুল সামাদ। দুই ফরোয়ার্ড ছিলেন সুনীল ছেত্রী এবং মনবীর সিং। ভারতের ছেলেরা কিন্তু কুঁকড়ে না থেকে প্রথম থেকেই আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সামনের দিকের দুই স্ট্রাইকারের মধ্যে সেই পেনিট্রেশন ছিল না যাতে সুযোগ তৈরি হয়। সুনীল ছেত্রীর বয়স এখন ৩৭। নেপাল-ভুটানের বিরুদ্ধে তাঁকে চালিয়ে দেওয়া গেলেও জর্ডনের মতো টিমের বিরুদ্ধে তাঁর সফল হওয়া মুশকিল। তাছাড়া অনেক দিন পর দেশের জার্সি পরে নামলেন তিনি। দেখার ছিল তাঁর ফিটনেস। মনে হচ্ছে সেটা ঠিকই আছে। আর এটিকে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে মনবীর যতই গোল করুন, আন্তর্জাতিক ম্যাচে এখনও তিনি নভিশ। ভারতের গোল আসবে কী করে? বিরতির পর সুনীল ছেত্রীর বদলে নামানো হল ঈশান পন্ডিতাকে। কিন্তু তিনি তো সবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা শুরু করেছেন। তাই গোলের মুখ আর দেখা হল না ভারতের।
তবু ডিফেন্স এবং মাঝ মাঠের জন্য বিরতির আগে গোল খায়নি ভারত। প্রায় দর্শক শূণ্য স্টেডিয়ামে জনা কয়েক প্রবাসী ভারতীয় দেশের পতাকা সঙ্গে নিয়ে সপরিবারে ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন। বিরতির সময় তারা বেশ খোস মেজাজে থাকলেও ম্যাচের শেষে কিন্তু মাথা নীচু করেই তাদের মাঠ ছাড়তে হল। ৭৫ মিনিটে সম্মিলিত আক্রমণ থেকে বক্সে ঢুকে ভলি করে গোল করলেন আবু আমারাশ। মনে হচ্ছিল ভারত বুঝি এক গোলেই হারবে। কিন্তু ৯২ মিনিটে বাঁ দিক থেকে আক্রমণে উঠে বক্সের মধ্যে ঢুকে কোণাকুণি শটে গোল করে ভারতের লজ্জা আরও বাড়ালেন আবু জারিক। মার্চে বেলারুশের কাছে ভারত হেরেছিল ০-৩ গোলে। বেলারুশের র্যাঙ্কিং ৯৩। তাদের চেয়ে একটু ভাল র্যাঙ্কিংয়ের টিমের কাছে ভারত এক গোল কম খেল এটাই যা সান্ত্বনা।