ধূপগুড়ি: বিতর্কে ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল। এবার ৩ বছরের শিশুকে সিরাপের বদলে দেওয়া হল বয়স্ক রোগীর দুটি ইঞ্জেকশন। এমনটাই অভিযোগ শিশুটির পরিবারের।
রবিবার দুপুরে ধূপগুড়ি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী সাগর সূত্রধর তাঁর তিন বছরের ছেলের প্রস্রাবের সমস্যা নিয়ে ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসেন। সেই সময় ধূপগুড়ি গাদং এলাকার আরেক রোগী হাতে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসেন। সেই রোগীকে চিকিৎসক দুটি ইঞ্জেকশন প্রেসক্রাইব করে । পরপর দুটি রোগের প্রেসক্রিপশন গিয়ে পৌঁছয় কর্তব্যরত নার্সদের কাছে। আর এর পরেই ঘটে বিপত্তি।
ভুল করে শিশুটির পায়ে দিয়ে দেওয়া হয় ইঞ্জেকশন
অভিযোগ শিশুটির প্রেসক্রিপশন ইঞ্জেকশন লেখা না হলেও পরপর দুটি ইঞ্জেকশন দিয়ে দেওয়া হয় ওই বাচ্চাটিকে। পরপর দুটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর শিশুটি ঘামতে শুরু করে। অভিযোগ, ভুল করে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেও হাসপাতালে তরফ থেকে শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিশুটির পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও গুরুতর অভিযোগ যে প্রেপসিশনের ভিত্তিতে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল সেটিও সরিয়ে ফেলা হয়।
অন্যদিকে ইঞ্জেকশন না পেয়ে কাতরাতে থাকেন আরেক জন রোগী। পরবর্তীতে সেই রোগীকে দুটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। রোগীর পরিবারের অভিযোযোগ, তাঁরা চিকিৎসকের কাছে এই গাফিলতির কারণ জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তর্ক শুরু করে দেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন ধুপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর সুরজিৎ ঘোষ।