নয়াদিল্লি: দেশে দৈনিক সংক্রমণ ফের বাড়ল। গত ২৪ ঘণ্টার মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৪০ জন। এর ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ কোটি ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ১৮৩। তবে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মাঝে স্বস্তির খবরও আছে। এই নিয়ে টানা ২০ দিন দেশে পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশের কম। গত ২৪ ঘণ্টার মোট করোনা পরীক্ষার ২.৮২ শতাংশ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে যত জন সংক্রমিত হয়েছেন, তার চেয়ে ঢের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭ হাজার ৯৪৪ জন৷ মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯২ লক্ষ ৫১ হাজার ২৯ জন। সুস্থতার হার ৯৬.৭৫ শতাংশ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কেড়েছে অসংখ্য প্রাণ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১২৫৮ জনের৷ এই সংখ্যাটা শনিবারের তুলনায় কিছুটা বেশি। করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭৫১৷
এক সময় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দাওয়াই বলতে ছিল লকডাউন আর নাইট কার্ফু। সঙ্গে কোভিড টিকাকরণ। এই তিন দাওয়াইয়ের জেরে গত দেড় মাস ধরে সংক্রমণের গতি কিছুটা নিম্নমুখী। সুস্থতার হার যেমন বাড়ছে, তেমন দৈনিক মৃত্যুও কমছে। গত ৪৫ দিন ধরে যতজন দৈনিক কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তার থেকে বেশি রোগী রোজ সুস্থ হয়ে উঠছেন। এর জেরে দেশে অ্যাকটিভ কেস ধারাবাহিকভাবে কমছে।
এ দিন নতুন করে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ৯ হাজার। মাসখানেক আগে দেশে সক্রিয় রোগী ছিল ৩৭ লক্ষের বেশি। এখন তা কমে ৬ লক্ষের নীচে চলে এসেছে। এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৫,৮৬,৪০৩টি৷ অর্থাৎ, দেশে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪০৩ জন। মাস্ক-স্যানিটাইজার-শারীরিক দূরত্বের পাশাপাশি করোনা রুখতে সবচেয়ে জরুরি হল গণ-টিকাকরণ। দেশজুড়ে টিকাকরণেই জোর দিচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যেই দেশের ৩২ কোটি ১৭ লক্ষ ৬০ হাজার ৭৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।