আবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পিচ আই সি সি’র থেকে শাস্তি পেল। এই উইকেটে ভারত আর শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্ট হয়েছিল। ১২ মার্চ এই টেস্ট শুরু হয়। মাত্র তিনদিনে খেলা শেষ হয়ে যায়। ২৩৮ রানে লঙ্কা বাহিনী হেরেছিল। সেই ম্যাচের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে রবিবার জানিয়ে দিয়েছে, এই পিচ ‘ বিলো এভারেজ’ অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে খারাপ।
এই রিপোর্ট মানে এই মাঠকে পেতে হল একটি ডিমেরিট পয়েন্ট ( one demerit point)। এই পয়েন্ট কেটে নিয়েছে আই সি সি-র পিচ অ্যান্ড আউটফিল্ড মনিটরিং প্রসেস কমিটি।
The #ChinnaswamyStadium pitch in #Bengaluru, which was used for the second Test between India and Sri Lanka earlier this month, was on Sunday rated "below average" by the #ICC.https://t.co/hF9acXfLtt
— The Hindu – Sports (@TheHinduSports) March 20, 2022
মজার ব্যাপার হল, এই সিরিজে ম্যাচ রেফারি ছিলেন এমন একজন যিনি ওই মাঠেই খেলে বড় হয়েছেন। কর্ণাটকের জাভাগল শ্রীনাথ। আইসিসির এই ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট উদ্ধৃতি লিখেছে : ” প্রথম দিনই উইকেটে প্রচুর টার্ন নিচ্ছিল। তবে যত খেলা এগিয়েছে, তত উইকেট ভালো হচ্ছিল। আমার মতে, ব্যাট আর বলের সমান সমান টক্কর চালানোর উইকেট ছিল না।”
শ্রীনাথের এই রিপোর্টটি আই সি সি পাঠিয়ে দিয়েছে, বিসিসিআইকে।
এই প্রথমবার নয়, এর আগে ২০১৭ সালে বেঙ্গালুরু উইকেট ‘ বিলো এভারেজ’ রেটিং পেয়েছিল। সেবার আইসিসি ম্যাচ রেফারি ছিলেন
ক্রিস ব্রড। সেবারও ভারত – অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ছিল সেটি দ্বিতীয় টেস্ট।
২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে যে নয়া নিয়ম চালু হয়েছে, তাতে বলা আছে, যদি কোনও পিচ বা আউটফিল্ড ভালো খেলার অযোগ্য হয় – সেই মাঠকে ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়ে হয়। এক ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়া মনে সেই মাঠের উইকেট, স্পোর্টিং উইকেট নয়। কোনও মাঠ ৩ থেকে ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়া মনে পিচটি জঘন্য – খেলার অযোগ্য।
আবার একটি ডিমেরিট পয়েন্ট মেলা মানে আউটফিল্ড ভালো নয়। ২ কিংবা ৫ পয়েন্ট মানে আউটফিল্ড খুব খারাপ আর খেলার অযোগ্য।
এই ডিমেরিট পয়েন্ট ৫ বছর ধরে কার্যকর থাকে।
এইভাবে ৫ বছরের মধ্যে ৫ পয়েন্ট পেয়ে থাকলে, ১২ মাসের জন্য এই মাঠে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আর পাবে না। আইসিসি সাসপেন্ড করে দেবে।
আর এই ডিমেরিট পয়েন্ট যদি ১০ পয়েন্ট ছুঁয়ে ফেলে তাহলে, ২ বছর সেখানে আর কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ হবে না।
ছবি: সৌ টুইটার।