দুর্গাপুর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশই সার৷ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালগুলির রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার ট্রেন্ড অব্যহত৷ যে কারণে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে মৃত্যু হল পথ দুর্ঘটনায় জখম এক ব্যক্তির৷ মৃতের নাম নির্মল মণ্ডল৷ মৃত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে বাঁচানো যেত তাঁকে৷ কিন্তু কোনও হাসপাতালই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নির্মল মণ্ডলকে ভর্তি নিতে চায়নি৷ তাই ১৪ ঘণ্টা পর মারা যান তিনি৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় দুর্গাপুরের জবরপল্লি এলাকায়৷ রবিবার ভোর থেকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে মৃতদেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন পরিবারের সদস্যরা৷ এর জেরে তীব্র যানজট তৈরি হয় সেখানে৷ পরে পুলিসের হস্তক্ষেপে উঠে যায় অবরোধ৷
নিহত নির্মল মণ্ডলের বাড়ি জবরপল্লি এলাকাতেই৷ আশিস মার্কেটে একটি ঘড়ির দোকান আছে তাঁর৷ শনিবার দুপুরে দোকান বন্ধ করে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন ৬২ বছরের বৃদ্ধ৷ সেই সময় একটি মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে সাইকেলটিকে৷ বাইকের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যান তিনি৷ রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মহকুমার হাসপাতালে৷ সেখান থেকে রেফার করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে৷ কিন্তু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ পথ দুর্ঘটনায় জখম ব্যক্তিকে অন্যত্র রেফার করে৷ বাধ্য হয়ে ফের দুর্গাপুরের ফিরে আসতে হয় পরিবারকে৷ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বেসরকারি হাসপাতালে নির্মলবাবুকে ভর্তি করার চেষ্টা করে তারা৷
কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের কথা শুনেই কোনও হাসপাতাল নির্মল মণ্ডলকে ভর্তি করতে অস্বীকার করে৷ এদিকে ক্রমশ বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে৷ ভোর তিনটে নাগাদ তিনি মারা যান৷ এতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন বাড়ির মানুষ ও এলাকার লোকজন৷ মৃতদেহ নিয়ে জবরপল্লী রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা৷ ভোর-রাত থেকে চলা বিক্ষোভের জেরে আটকে পড়ে গাড়ি৷ রাস্তায় বাম্পার আর ট্র্যাফিকের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা৷ খবর পেয়ে সকালে সেখানে পৌঁছয় দুর্গাপুর থানা ও লাউদোহা থানার পুলিস৷ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে রাস্তা অবরোধ তুলে দেওয়া হয়৷ পুলিস জানিয়েছে, যান চলাচল স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে৷
আরও পড়ুন: Jhalda Murder Case: ঝালদার তপন কান্দু খুনে ধৃতদের তোলা হবে আদালতে