বিক্ষোভ থেকে বাঁচতে টুল দিয়ে নিজেকে রক্ষা করছেন পুলিশকর্মী৷ আত্মরক্ষায় শিল্ডের বদলে ব্যবহার হচ্ছে ঝুড়ি৷ একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রশ্ন উঠছে পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে৷ উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার আক্রমপুরের ঘটনা৷ মঙ্গলবার পথ দুর্ঘটনায় দুই ব্যক্তির মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা৷ বুধবার দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু মৃতের পরিজনরা৷ এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয় পুলিশের একটি বড় দল৷ সেই দলে ছিলেন রায়ট পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরাও৷ তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনো মাত্রই যেন আগুনে ঘি পড়ে৷ মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা৷ উন্মত্ত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে শুরু করে৷ ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন পুলশকর্মী৷ জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধের মধ্যেই বেশ কয়েকটি অদ্ভুত দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়৷ আর সেই ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়৷ ভিডিওতে দেখা যায়, এক পুলিশকর্মী হেলমেটের অভাবে প্লাস্টিকের টুল দিয়ে মাথা ঢেকেছেন৷ পাথর থেকে বাঁচতে আর একজন নিয়েছেন বড় একটি ঝুড়ি৷ যা দিয়ে তিনি শিল্ডের কাজ করছেন৷
আরও পড়ুন: যোগী রাজ্যে খবর করে সাংবাদিক খুন
ভিডিওতে স্পষ্ট, প্লাস্টিকের টুল পরিহিত ওই পুলিশকর্মী, জনতাকে শান্ত করার অভিপ্রায়ে, এক হাত দিয়ে মাথায় টুল চেপে ধরে অন্যহাতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যাচ্ছেন উন্মত্ত জনতার দিকে ৷আর একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, গ্রামবাসীদের উপর লাঠি দিয়ে গ্রামবাসীদের শান্ত করার চেষ্টা করছে আর সশস্ত্র পুলিশকর্মীরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন৷
ছোট্ট একটি বাড়ির সামনে কয়েকজন পুলিশকর্মী আটকা পড়েছেন আর একদল যুবক তাঁদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছে৷ প্রাণ বাঁচাতে পুলিশকর্মীরা আশ্রয় নিয়েছেন গাছের পেছনে৷ সেখনে হামাগুড়ি দিয়ে কোনওক্রমে পাথর থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছেন৷ যথাযথ রায়ট গিয়ারে সজ্জিত হয়ে কয়েকজন পুলিশকর্মী লাঠি নিয়ে একদল গ্রামবাসীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছে ও তাঁরা দৌড়ে পথের ধারে বাড়িতে ঢুকে পড়ছে৷
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, আইনশঙ্খলা বজায় রাখতে সব জেলাতেই একটি এসওপি ও যথেষ্ট পরিমাণে রায়াট গিয়ার দেওয়া হয়েছে৷ সেখানে আক্রমপুরের ঘটনা সম্পর্কে আগে থেকে খবর থাকলেও যথেষ্ট প্রস্তুতি ছাড়াই পুলিশকর্মীরা সেখানে কেন গেলেন, এস পি ও লোকাল থানার কাছে এবিষয়ে কৈফেয়ত চেয়েছেন পুলিশের ডিজিপি৷ পাশাপাশি ঘটনা প্রেক্ষিতে পুলিশের এসএএইচওকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ স্থানীয় থানার কাছে ঘটনার কৈফিয়ত তলব করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷ ট্যুইটারে এবিষয়ে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে৷