আগামী দু-তিনদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাল হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতরের মতে, জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরেই এই ভারী বৃষ্টি। প্রথমত, উত্তরপ্রদেশে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। পাঞ্জাব থেকে নিম্নচাপ অক্ষরেখা বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। আর এই অক্ষরেখাটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে গেছে। দ্বিতীয়ত, উত্তরপ্রদেশে বাংলাদেশ সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর রয়েছে আরো একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই দুইয়ের প্রভাবেই বাড়ছে বৃষ্টি।
আরও পড়ুন: রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন মহানগরী
আগামী কয়েকদিন আকাশ থাকবে মেঘলা। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যজুড়ে। অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাগুলিতে। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়।দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে দু -এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন:ভোটে হেরে ময়দানে বিজেপি নেই, আছেন রাজ্যপাল
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতের কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহর কলকাতা থেকে শুরু করে গোটা রাজ্য। কোথাও জল হাঁটু পর্যন্ত কোথাওবা কোমর পর্যন্ত। গঙ্গা, দামোদর সহ সব নদীর জল বেড়ে গিয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত শহরে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে মোমিনপুর এলাকায়। সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ১৭৯ মিলিমিটার। এছাড়া বালিগঞ্জে ১৪৮ মিলিমিটার, কালীঘাটে ১৬৮ মিলিমিটার, বেহালাতে ১৬৩ মিলিমিটার, মানিকতলায় ৭৭ মিলিমিটার, বেলগাছিয়ায় ৮২ মিলিমিটার, উল্টোডাঙায় ৮৪ মিলিমিটার, পামারব্রিজে ১১৫ মিলিমিটার, ধাপায় ১০২ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ১৫৩ মিলিমিটার এবং জিঞ্জিরা বাজারে ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।