কলকাতা: রাজ্যের মানুষ এখন আর বনধ চায় না বলে দাবি করলেন পরিবহণমন্ত্রী (Firhad Hakim) ফিরহাদ হাকিম। সোমবার তিনি বলেন, এক সময় সিপিএম তথা বামফ্রন্ট যথেচ্ছ ব্যবহার করে প্রতিবাদের হাতিয়ার বনধকে ভোঁতা করে ফেলেছে। তাই এখন আর মানুষ বনধ (All India Strike) সমর্থ করে না।
মন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে বনধ সংস্কৃতির জেরে বহু কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বামেরা এখন মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তাদের আর রাজ্যে কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। তাই প্রচারে থাকার জন্য বিক্ষিপ্তভাবে রাস্তায় নেমে (Trade Union Strike) গাড়িঘোড়া আটকানোর চেষ্টা করছে।
ফিরহাদ বলেন, রাজ্যের সরকার আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে কোনও আপস করবে না। রামপুরহাটের ঘটনায় দোষীদের চরম শাস্তি দেওয়াই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। রাস্তায় নেমে যারা গলা ফাটাচ্ছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনও ঘটনা ঘটলে তাদের সিবিআই তদন্তের কথা মনে পড়ে না।
ধর্মঘট সমর্থকদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সংস্থা (Trade Union Bharat Bandh) বিজেপির জনবিরোধী নানা নীতির বিরুদ্ধে সোমবার এবং মঙ্গলবার সারা দেশে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। রাজ্যের বামফ্রন্ট সেই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে। তারা ধর্মঘটের ইস্যুতে রামপুরহাটের গণহত্যা, বসিরহাটের শিশু ধর্ষণ, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুন প্রভৃতি ঘটনাকেও জুড়ে দিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় বাম সমর্থকরা ধর্মঘটের সমর্থনে পথেও নেমেছেন। যদিও রাজ্যে জনজীবন এখন পর্যন্ত স্বাভাবিকই রয়েছে।
আরও পড়ুন: TMC-BJP Clash Assembly: চক্রান্ত করে বিধানসভায় হামলা বিজেপির, সরব পার্থ
রাজ্য সরকার শনিবারই বনধ রুখতে কড়া নির্দেশ জারি করেছে। বলা হয়েছে, এই দুদিন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কোনও ছুটি নিতে পারবেন না। গরহাজির থাকলে কর্মজীবন থেকে একটি দিন বাদ যাবে। অতীতে বামেদের ডাকা একাধিক ধর্মঘটের সময়েও তৃণমূল সরকার এই ধরনের সার্কুলার জারি করেছিল।
