উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত পৃথক রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে সোচ্চার হলেন বিজেপি সাংসদ জন বার্লা৷ এমনকী প্রস্তাবটি তিনি সংসদের বাদল অধিবেশনেও উত্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন৷ এবার তা নিয়েই কার্যত সরগরম রাজ্য রাজনীতি৷ বিজেপি সাংসদের মত, ভোট-পরবর্তী রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত৷ মানুষ শান্তিশৃঙ্খলা চান তাই উত্তরবঙ্গের একটি পৃথক রাজ্য হিসাবে আত্মপ্রকাশ করা প্রয়োজন৷ এই প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যর পরিবহনমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম৷ বিজেপি সাংসদকে পাল্টা কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘ইংরেজরা একসময় বাংলাভাগের চক্রান্ত করেছিল, ফের নতুন করে সেই চক্রান্ত হচ্ছে৷ বাংলার মানুষ বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে৷ তাঁরা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গকে কখনওই আলাদাভাবে দেখে না৷’
আরও পড়ুন রাজ্যপালকে মানসিক চিকিৎসার পরামর্শ ফিরহাদের
সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে বিজেপির৷ বাংলায় ভাঙনের রাজনীতি করে নিজেদের আধিপত্য কায়ম করার চেষ্টা করছে বিজেপি, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য হিসাবে দাবি করার প্রেক্ষিতে এমনই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব৷ শনিবার বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতৃত্ব স্পষ্টত জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গ ভাগের পরিকল্পনা নিয়ে যদি কোনও আশান্তি সৃষ্টি হয় তবে সেই দায় নিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে৷ উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতৃত্বের মত, এর আগে বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তরের জেলা ভাগের দাবি উঠেছিল৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি মাথা তুললেও রাজ্যের অখণ্ডটতা বজায় রাখতে কখনওই সেই দাবীকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷
আরও পড়ুন বড় ভাঙন, বিজেপি-সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে ১৫০ পরিবার
অনেকক্ষেত্রে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে৷ কিন্তু সেই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে ফের প্রশ্রয় দিচ্ছে বিজেপি৷ বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফলাফলের প্রতিহিংসা থেকেই উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি, জন বার্লার বক্তব্যর প্রেক্ষিতে এভাবেই তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন রাজ্যের পরিবহণ ও আবাসন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷