ইউরো কাপের ফিনল্যান্ড ম্যাচে মাঠের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ডেনমার্কের মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন। তবে সহখেলোয়াড় এবং ডাক্তারদের সময়োচিত হস্তক্ষেপে তিনি এখন বিপদমুক্ত। শনিবার ম্যাচের মধ্যে জ্ঞান হারানোর পর মাঠের মধ্যেই জ্ঞান ফিরে পাওয়া এরিকসন এর আগেই হোয়াটসঅ্যাপ কলে কথা বলেছিলেন তাঁর টিমমেটদের সঙ্গে। বলেছিলেন, “আমি ভাল আছি। তোমাদের ধন্যবাদ।” এরিকসন এখনও কোপেনহেগেনের হাসপাতালেই আছেন। তিনি সেখান থেকেই একটি টুইট করেছেন তাঁর সব শুভার্থীদের উদ্দেশে। বলেছেন, ” বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাঁরা আমাকে মধুর এবং অত্যাশ্চার্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার এবং আমার পরিবারের কাছে এই সব বার্তা ভীষণ রকমের উৎসাহের সঞ্চার করেছে। আমি ভাল আছি। এখনও আমার কয়েকটি পরীক্ষা বাকি। কিন্তু আমি ঠিক আছি। এখন আমি ডেনমার্কের বাকি ম্যাচগুলো দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। আমার সতীর্থদের জন্য আমি প্রার্থনা করছি। আপনারাও ওদের সমর্থন করুন। ওদের জন্য প্রার্থনা করুন। আপনারা সবাই ভাল থাকবেন। “
সেদিনের ম্যাচ শেষ পর্যন্ত পৌনে দু ঘণ্টা পরে শুরু হয়। এবং ফিনল্যান্ডের কাছে ডেনমার্ক এক গোলে হারে। কেন ওই রকম মানসিকতার মধ্যে ডেনমার্ককে খেলানো হল তা নিয়ে সারা বিশ্বে সমালোচনা হয়েছে। ডেনমার্ক সেদিন একটি পেনাল্টিও নষ্ট করে। এ সবই তাদের মানসিকতা হারিয়ে ফেলার লক্ষণ। তবে এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে চায় ডেনমার্ক। তাদের পরের ম্যাচ বেলজিয়ামের সঙ্গে বৃহস্পতিবার। বেলজিয়াম খুবই ভাল দল। তারা প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রাশিয়াকে। তাই বেলজিয়ামকে হারাতে হলে খুবই ভাল খেলতে হবে ডেনমার্ককে।
এরই পাশাপাশি এরিকসনের ফুটবল ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। অনেকেই মনে করছেন তাঁর ফুটবল জীবন শেষ। কিন্তু ডাক্তাররা এখনও এই ব্যাপারে কিছু বলেননি। তাঁরা অপেক্ষা করছেন এরিকসনের সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার জন্য। এরিকসন নিজে অবশ্য মাঠে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। বলেছেন, “ডাক্তারদের অনুমতি সাপেক্ষে আমি প্র্যাক্টিস শুরু করতে চাই।” মাত্র ২৯ বছর বয়স এরিকসনের। ইতালিয়ান সিরি আ চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলানের প্রথম একাদশের প্লেয়ার তিনি। তাঁর সতীর্থ রোমেলো লুকাকু তাই রাশিয়ার বিরুদ্ধে গোল করার পরেই মাঠের পাশে থাকা টিভি ক্যামেরার সামনে গিয়ে বলে ফেলেন, “ক্রিস, ক্রিস তোমাকে আমি ভালবাসি।” শুধু লুকাকুই নন, সারা বিশ্বেই এরিকসনের ভালবাসার লোক প্রচুর। তাদের বার্তাতে তাই উপচে পড়েছে এরিকসনের ফেস বুক এবং টুইটার অ্যাকাউন্ট। তাদের সবার শুভেচ্ছায় এরিকসন কবে মাঠে ফেরেন তাই এখন দেখার।