দুর্গাপুর: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর নগর নিগমে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসলেন মেয়র সহ স্বাস্থ্য অধিকর্তা। বৈঠকে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ মহম্মদ ইউনুস, দুর্গাপুরের মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, কমিশনার ময়ূরী ভাসূ, মেয়র পারিষদ সদস্য রাখি তিওয়ারি সহ স্বাস্থ্য দফতরের অন্যান্য আধিকারিকরা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi Card) থাকলে যেন কোনওভাবেই রোগী ফিরিয়ে দেওয়া না হয়, তার কড়া বার্তা দেওয়া হয় এদিনের বৈঠকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা রোগীকে কোনও হাসপাতাল ফিরিয়ে দিলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে। সেই নির্দেশের পরও হাসপাতালগুলির রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা চলছেই। গত রবিবারই দুর্গাপুরে (Durgapur) পথ দুর্ঘটনায় জখম এক ব্যক্তি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকার পরও চিকিৎসা না পেয়ে মারা গিয়েছেন। মৃত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে বাঁচানো যেত তাঁকে৷ কিন্তু কোনও হাসপাতালই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে তাঁকে ভর্তি নিতে চায়নি৷ তাই ১৪ ঘণ্টা পর মারা যান তিনি৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় দুর্গাপুরের জবরপল্লি এলাকায়৷
আরও পড়ুন: Summer Special Trains: গরমে গন্তব্য দার্জিলিং? এনজেপি-হাওড়ার মধ্যে ১২ জোড়া স্পেশাল ট্রেন
মৃত ব্যক্তির বাড়ির মানুষ ও এলাকার লোকজন দেহ নিয়ে জবরপল্লি রাস্তা অবরোধ করেন। বেসরকারি হাসপাতালগুলির এই কীর্তিকলাপ ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। সেই ঘটনাতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। যদিও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা হয়নি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন দুর্গাপুরের মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। এদিন বৈঠকে প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে কোনও রোগীকেই ফেরানো যাবে না। সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।