কলকাতা : করোনা পরিস্থিতিতে গত দেড় বছর ধরে স্কুলে যাচ্ছে না পড়ুয়ারা। স্বাভাবিক কারণেই আর্থিক সমস্যার মুখে পুলকার চালকরা। কবে স্কুল খুলবে তা নিয়ে এখনও কোনও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। চরম অনিশ্চয়তায় দিন গুনছেন পুলকারের সঙ্গে যুক্ত কর্মী ও গাড়ির মালিকরা। কেউ সবজি বিক্রি করছেন, কেউ হোম ডেলিভারিতে খাবার সরবরাহ করছেন। গতবছর মার্চের পর থেকে এভাবেই সংসার চালাচ্ছেন পুলকার চালকরা। করোনাকালে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত স্কুল। যাবতীয় পঠন-পাঠন চলছে অনলাইনে। অনলাইনেই চলছে পরীক্ষা ও ফলাফল।
নতুন ক্লাসে নতুন সিলেবাসে পড়াশোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পুলকার মালিকরা পড়েছেন যাঁতাকলে। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে অনেকেই গাড়ি কিনেছিলেন, কিন্তু পুলকার পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিভাবে ব্যাঙ্কের কিস্তি মেটাবেন তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ। এছাড়া রোড ট্যাক্স, বীমাসহ পুলকার বাবদ খরচা মেটাতে ভাঁড়ারে টান পড়ছে। সরকারি তরফে রোড ট্যাক্স মকুব হলেও গাড়ি বাবদ কিস্তি মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন পুলকার মালিকরা।
বিকল্প উপার্জনের রাস্তাতেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা। পুলকারের গাড়িগুলিতে পর্যটকদের নিয়ে যেতেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। কলকাতাসহ দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়ায় বৈধ পুলকারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার। গত দেড় বছর ধরে গাড়িগুলো বসে যাওয়ায় গাড়ির যন্ত্রাংশের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে জ্বালানি তেলের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি, রীতিমতো বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ দত্ত। স্কুল কবে খুলবে তা নিয়ে যেমন অনিশ্চয়তা রয়েছে পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় নতুন কি নির্দেশিকা আসে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন পুলকারের সঙ্গে যুক্ত কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।