মেদিনীপুর : ক্রমেই শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে ‘গুলাব’ (Gulab)। সেই কারণে প্রস্তুতি তুঙ্গে। বৃষ্টিতে জমা জলে বিদ্যুতের তার থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। তাই গুলাব রাজ্যে আসার আগেই মেদিনীপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে খুলে নেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের তার। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে সমস্ত ত্রিফলার। দীঘার সমস্ত হোটেল থেকে পর্যটকদের চলে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
মেদিনীপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে শনিবার চারদিকে মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। রাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনার কথা মাথায় রেখে দুদিন ধরে বিদ্যুতের তারের উপর থাকা গাছ অন্যান্য জিনিসপত্র সরানো হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে মেদিনীপুর পৌর এলাকাতে থাকা বিভিন্ন ত্রিফলা বাতির সংযোগও কেটে দেওয়া হয়েছে। মাটির তলা দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার গুলি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় সংযোগ ছিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিছিন্ন করা হচ্ছে সব ত্রিফলার
আরও পড়ুন – গুলাবের চোখ রাঙানি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যবাসীর
এছাড়াও আমফানের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সতর্ক প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়। যশ, আমফান ঘূর্ণিঝড় যেভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূল এলাকা অর্থাৎ দীঘা, মন্দারমনি, তাজপুর, শঙ্করপুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন বিভিন্ন সর্তকতা জারি করেছে।
দীঘার সমুদ্রসৈকত
আরও পড়ুন – ধেয়ে আসছে ‘গুলাব’, স্থলভাগ থেকে দূরত্ব মাত্র ২৭০ কিলোমিটার
মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে, তেমনই দীঘার পর্যটন কেন্দ্রের হোটেল খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী। রবিবার বিকেলের মধ্যে দীঘার সমস্ত হোটেল থেকে পর্যটকদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ নিম্নচাপের ফলে যে গভীর সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস এবং প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তাতে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আগামী কয়েকদিন প্রবল বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।