শান্তিনিকেতন : উপাচার্যের অপসারণের দাবি তুলে নতুন করে কমিটি গড়ল ‘বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ’। এই কমিটির তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, রাজ্যপাল ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠিও দেওয়া হল।
এছাড়াও রবীন্দ্র আদর্শ ফিরিয়ে আনতে এবং শান্তিনিকেতন কে বাঁচাতে দুর্গা পুজোর পর লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচিরও হুমকি দিয়েছে এই শান্তিনিকেতন বাঁচাও কমিটি।
উপাচার্য পদে অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এসেছেন বছর কয়েক আগে। তারপর থেকেই কার্যত একের পর এক বিতর্ক কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে। মানুষ শান্তির জায়গায় এখন অশান্তি বেশি উপলব্ধি করছে। যদিও এর অবদান বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। কখনো তিনি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বলেন উনি নাকি শান্তিনিকেতনের বহিরাগত।
আরও পড়ুন – শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির দুর্গাপুজোয় অনুমতি দিল আদালত
কখনো আবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তার মুখে শোনা গেছে অধ্যাপকরা ধান্দাবাজ,চোর। এমনকী রবীন্দ্র চিন্তনের খোলা হাওয়া শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিলও দিয়েছেন। রবীন্দ্র ঐতিহ্য অন্যতম বড় উৎসব বসন্ত উৎসব, পৌষ মেলা। সেটাও বন্ধ করে দিয়েছেন।
এই অবস্থায় শান্তিনিকেতন কে বাঁচাতে, রবীন্দ্র আদর্শকে ফিরিয়ে আনতে উপাচার্যকে অপসারণের দাবি করল যৌথ মঞ্চ। তবে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এই বিষয়ে।
‘বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ’ কমিটি
আরও পড়ুন – পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ চেয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা
কয়েকদিন আগেই অচলাবস্থা চলছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজরিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কার করার কারণে উপচার্যের বিরুদ্ধে শুরু হয় আন্দোলন। উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখা হয় দীর্ঘ সময়।
সেই বিবাদের রেশ যায় কলকাতা হাইকোর্টে। যদিও আদালতের নির্দেশে বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর কিছুদিন পরেই আবার উপাচার্যের অপসারণের দাবি তুলল ‘বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ’।